Monday, November 2, 2015

Health care tips : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৫টি কার্যকরী খাবার - 5 item of food control diabetics

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে

ডায়াবেটিস নিয়ে সবারই একটা ভুল ধারণা আছে যে, এটি একটি বংশগত রোগ। যদি বংশ বা পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নতুন প্রজন্মেরও ডায়াবেটিস হয় ভেবে থাকে অনেকেই। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ যুক্তিহীন কথা। এটি কোনো বংশগত রোগ নয়। যে কারই এটি হতে পারে। কিন্তু এতে আপনার চিন্তার কিছুই নেই। ডায়াবেটিস কে প্রতিরোধ করা যায় না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনার জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসই দায়ি এর জন্য। ঘাবড়ে যাবেন না গিয়ে আপনি যদি আপনার বদভ্যাসগুলো পরিবর্তন করে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেন তাহলেই আপনি এটিকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আজ আমি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনকারী ৫টি খাবার সম্পর্কে আপনাদের অবগত করাবো।

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কেঃ

শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান অতিরিক্ত হারে বাড়লে সেটাকেই ডায়াবেটিস বলে। অতিরিক্ত হারে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও এটি হতে পারে। তাই আপনাকে ডায়াবেটিসের প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলো মানার সাথে সাথে খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ত আরোপ করতে হবে।

১। আদাঃ

আদা ছাড়া বাঙালি রন্ধন শিল্প অনেকটাই অসম্পূর্ণ। মসলার জগতে আদা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বলে এমন কেউ নেই যে আদাকে চিনে না। আদায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট রয়েছে। অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভুমিকা রাখে। তাই কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন কাঁচা ২-৩ টুকরো আদা খেয়ে নিতে পারেন।

২। অ্যালো ভেরা (Aloe Vera):

অ্যালো ভেরার গুনাগুন সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানে। ইহা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে খুব কার্যকরী। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে অ্যালো ভেরার শরবত পানে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের রক্ত থেকে লিপিড বা ফ্যাট মলিকিউলস কমে যায়। এছাড়া রক্ত থেকে গ্লুকোজের পরিমান অতি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

৩। করল্লাঃ

করল্লা তিতা হলেও খুব বেশি স্বাস্থ্য গুনাগুন সম্পন্ন একটি সবজি। করল্লা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি প্রতিদিন করল্লার ১ গ্লাস শরবত তাদের জন্য খুবই উপকারি। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের খাবারে করল্লা রাখা উচিত।

৪। মেথি দানাঃ

মেথি আপনি খাবার হিসেবে ব্যাবহার না করতে পারলেও মসলা হিসেবে এটির বহুল ব্যাবহার প্রচলিত। মেথি কার্বো- হাইড্রেট হজম প্রক্রিয়ার সময়কে হ্রাস করে। যার ফলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বারতে পারে না। সুতরাং মেথি দানা কে মসলা হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিন। সরাসরি মেথি দানা না ব্যাবহার করতে পারলে মেথি কে গুঁড়ো করে ব্যাবহার করতে পারেন।

৫। আমলকীঃ

আমলকী টক ফল হিসেবে সবার কাছে জনপ্রিয়। আমলকীকে সরাসরি আপনি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ফল বলতে পারেন। আমলকী রক্তের ইনসুলিন লেভেলকে কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী। সুতরাং আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব সহজেই আপনাকে সহায়তা করবে। তাছাড়া আমলকী তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। যা স্বাস্থ্যর জন্যও বেশ উপকারি।


0 comments:

Post a Comment