Friday, October 30, 2015

Health care tips : চিনা বাদাম এর কার্যকারী স্বাস্থ্য উপকারিতা - Peanut for health



সবাই চিনা বাদাম খেতে পছন্দ করে। পার্কে বসে প্রিয় মানুষ বা বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে এটি খাওয়ার মজাই আলাদা। আমরা এটি মাঝে মাঝে খাচ্ছি। কিন্তু এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে যা আমরা জানি না। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমান ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন আছে। প্রতিদিন এক মুঠো চিনা বাদাম খেলে আপনি আপনার শরীরকে অনেক রোগ-বালাই থেকে দূরে রাখতে পারবেন।

একমুঠো চিনা বাদাম

চিনা বাদাম এর স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য চিনা বাদাম একটি স্বাস্থ্য সম্মত খাবার। এটি আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা দিতে সক্ষম। এটি পুষ্টি গুনাগুন সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে খেতেও বেশ দারুন। আসুন জেনে নেই চিনা বাদাম এর স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো।

১। কোলেস্টেরল কমায় চিনা বাদামঃ

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বর্তমানে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেশ বড় আকার ধারন করেছে। কোলেস্টেরলে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হল অপুষ্টিকর ও তৈলাক্ত খাবার। শরীরের মাত্রাধিক কোলেস্টেরল হৃদরোগ, উচ্চ রক্ত চাপ, ওজন বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস এর মতো কঠিন রোগ সৃষ্টি করে। বাদামের অসাধারন কার্যকরী ফ্যাট শরীর থেকে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এই বাদাম শরীরের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০-১২ টি বা এক মুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে।

২। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহাজ্য করেঃ

চিনা বাদাম রক্ত থেকে সুক্রোজ এর মাত্রা কমায়। প্রতিদিন সকালে এটি বা এর মাখন নাস্তার সাথে খেতে পারেন। তাছাড়া রাতে ১০-১৫ টি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস নির্মূলে বিশেষ ভাবে কার্যকরী।

৩। ওজন কমাতে বেশ কার্যকরীঃ

বাংলাদেশে অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। শরীর থেকে ওজন কমাতে ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন অত্যাবশ্যক। চিনা বাদাম থেকে আপনি সেই ভালো ফ্যাট পাবেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক মুঠো বাদাম যুক্ত করে আপনি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া এটি আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

৪। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ

কিছু কিছু মানুষের স্মৃতি শক্তি তুলনামুলক ভাবে অন্যদের চেয়ে কম। খুব অল্প বয়সেই অনেকেই ভুঘছেন মস্তিষ্কের সমস্যায়। ভুলে যাচ্ছেন সামান্য বিষয় এবং অনেক চেষ্টা করেও মনে রাখতে পারছেন না। এমনটা হয় যখন আমাদের মস্তিস্ক পরিমান মতো পুষ্টি পায় না। একে মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে গন্য করা যায়। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমানে বি৩ আছে যা মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। তাই প্রতিদিন চিনা বাদাম বা এর মাখন খাবেন, যাতে করে আপনি স্বয়ংক্রিয় মস্তিস্ক পেতে পারেন।

৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

ছোটো ছোটো কারনে রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন যেমন ঠাণ্ডা, কাশি, মাথা ব্যথা, দুর্বলতা, খাওওায় অরুচিআ এবং নিদ্রাহীনতা। শরীরে সঠিক পরিমানে পুষ্টি না থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চিনা বাদামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দান করে। তাই, প্রতিদিন চিনা বাদাম খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান।

চিনা বাদামের সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা উপভোগ করতে প্রতিদিন অবশ্যই একমুঠো চিনা বাদাম খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এর জন্য চিনা বাদাম আপনাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে।

Thursday, October 29, 2015

Health care tips : বয়স যখন হার মানে - When age lost patients

কথায় আছে বাঙালি মেয়ে কুড়িতেই বুড়ি। আর বয়সটা যদি হয় কুড়ি যোগ কুড়ি মানে চল্লিশ, তবে কি 'বুড়ি থুত্থুড়ি'? মোটেও না। এ যুগে বয়সের কাছে হার মানা কখনোই নয়। মনটা সজীব থাকলে আর একটু সচেতন হলে বয়সকে হার মানাতে নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। আপনি নন, বয়সই হার মানবে আপনার কাছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারমনি স্পার স্পা-থেরাপিস্ট রাহিমা সুলতানা।

বয়সের রেলগাড়িটা···
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য হারায়। কিছু নিয়ম মেনে এই বুড়িয়ে যাওয়া ভাবকে ঠেকানো যায়। যেমন-সঠিক খাদ্য তালিকা মেনে চলা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া। শরীর আর মনেও আসে কিছু পরিবর্তন। যেমন-ত্বকে দাগ বা ভাঁজ পড়া, ত্বকের রং পরিবর্তন, ত্বক ছাপিয়ে শিরা দৃশ্যমান হওয়া, মেদ বেড়ে যাওয়া, বয়সজনিত দাগ, শারীরিক অবকাঠামো ভেঙে পড়া ইত্যাদি। এসব মিলে যে ব্যাপারটি সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে ওঠে, তা হলো মানসিক অবসাদ। ত্বকের ওপর বয়সের প্রভাব মূলত জীবনের চার অধ্যায়ে বিন্যস্ত। কৈশোর, তারুণ্য, মধ্যবয়স ও বার্ধক্য। কৈশোর ত্বক গঠন করে, তার পরিণতি মেলে তারুণ্যে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার শুরুটা মধ্যবয়সে। এ বয়সে ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ প্রতিবছর শতকরা এক ভাগ কমতে থাকে। এতে কপাল ও চোখের চারপাশে দেখা দেয় বলিরেখা। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে তা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ত্বকনিঃসৃত তেলের নিঃসরণ কমে যায় বলে সহজেই ত্বকে দাগ পড়ে। বার্ধক্যে ত্বকের নিচে জমে থাকা চর্বি কমে যেতে থাকে বলে চামড়া বা ত্বক ঝুলে পড়ে।

বয়সকে করুন জয়
বয়সকে জয় করার মূলমন্ত্র কিন্তু ইতিবাচক চিন্তা আর হৃদয়ের তারুণ্য। তারুণ্য চিরকালীন। আপনার মন সজীব থাকলে কারও সাধ্য নেই বুড়িয়ে দেওয়ার। নিজের প্রতি মনোযোগ ও যত্ন আর সদা হাসিখুশি থাকার মূলমন্ত্র আয়ত্তে আনতে হবে নিজেকেই। বয়সের পরিপক্বতাকে আত্মবিশ্বাসের অনুষঙ্গ মনে করে বাকি সব উপসর্গ সহজেই মুছে নেওয়া সম্ভব।
'আক্ষরিক অর্থে হিসাব করতে বসলে মনে পড়ে, বেশ কিছু বছর চলে গেছে জীবন থেকে। অথচ আমার মনেই থাকে না। আসলে কি, মন যদি সুন্দর থাকে, তবে কিছুই কিন্তু বাধা হতে পারে না।' কথাগুলো বললেন সুরের ধারার শিশু বিভাগের সংগীতশিক্ষক গাজী শারমিন। গাজী শারমিন দুই মেয়ের মা, বড় মেয়ের বয়স ১৯ আর ছোট মেয়ের ১৬ বছর।
শারমিন বলেন, 'আমার মতে, নিজেকে ঠিক রাখতে হলে সবার আগে মনটাকে হাসিখুশি রাখা চাই। জীবনে আনন্দের সঙ্গে বেদনারও বসবাস। তাই বলে সেটা ধরে বসে থাকলে চলবে কেন? আমি তো এখন আরও দুজন বন্ধু পেয়েছি-আমার দুই মেয়ে। এ তো গেল মানসিক স্থিতির কথা। বাইরে সুন্দর থাকাটাও কিন্তু খুব দরকার। আমাদের দেশের আবহাওয়া যেমন, তাতে ঘরে থাকলেও নিজের যত্ন নিতে হবে। সাধারণত আমরা নিজের প্রতি খুব একটা যত্ন নিই না। ব্যাপারটা আমরা সবচেয়ে বেশি বুঝতে পারি যখন আমাদের ত্বক স্বাভাবিক কমনীয়তা হারায়। ছোটবেলা থেকেই পরিচ্ছন্ন থাকার চর্চা করতে হবে। মন যদি তরুণ থাকে, তবে এর অভিব্যক্তি মুখেও পড়ে বৈকি! আমি প্রচুর পানি খাই। পানি স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ঠিক রেখে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে। বাইরে যাওয়ার সময় হালকা সাজ আমার পছন্দ। আমার মন ভালো থাকে। মন ভালো থাকাটা খুব জরুরি।'

মেনে চলুন খাদ্যাভ্যাস
সবার আগে নিজের খাদ্যাভ্যাস নজরে আনা উচিত। কোন খাবার ত্বকের বন্ধু, কোনটি নয়-সে বিষয়ে রাহিমা সুলতানা বলেন, রঙিন খাবার, যেমন-প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল খাওয়া উচিত। তাজা খাবার ত্বক সতেজ করে। বাসি-পচা তাই এড়িয়ে চলুন। মাংস বাদ দিয়ে মাছ খাওয়ার অভ্যাস বাড়িয়ে তুলতে হবে। ইচ্ছামতো ভাত বা ভাতজাতীয় খাবার না খেয়ে সবজির স্যুপ বা এজাতীয় খাবার খান। শাকাহারী শব্দটিকে ভালোবাসতে শিখুন। বাদাম, পেস্তা অথবা মাছের তেল বাদে অন্যান্য তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিনি ইত্যাদি যথাসম্ভব খাদ্য তালিকার বাইরে রাখুন। সপ্তাহে এক বা দুই দিন মাংস খেলেও প্রচুর সবজি সঙ্গে রাখুন। বার্ধক্যে কাজের পরিমাণ সাধারণত কমে যায় বলে ক্যালোরির চাহিদাও কমে যায়। তাই উচ্চ ক্যালোরিসম্পন্ন খাবার এড়িয়ে চলুন। সামুদ্রিক মাছ ও প্রচুর পানি পান ত্বককে বয়সের বিপরীতে চলতে সাহায্য করে। সময়মতো খাদ্যগ্রহণ জীবনাচরণ উন্নত করে। কফি, অ্যালকোহল, চিনি বাদ দিয়ে মধ্যবয়স থেকে সবুজ চা (গ্রিন টি) খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ত্বকের দাগ ও ভাঁজ নির্মূলে সাহায্য করে সামুদ্রিক মাছ, তিল ও সূর্যমুখী বীজের তেল। পুষ্টিকর খাবার, আঁশযুক্ত খাবার খাদ্য-তালিকায় সংযোজন করুন।

শরীরচর্চার বিকল্প নেই
নিয়মিত শরীরচর্চা, হাঁটা শরীরকে রাখে উপযুক্ত, মনেও আনে প্রশান্তি। রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতা বাড়াতেও শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই। সুনিদ্রা সুস্বাস্থ্যের বড় বন্ধু। নিয়মিত শরীরচর্চা সুনিদ্রার সহায়ক। শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূরীকরণে এর কোনো বিকল্প নেই।

ত্বকের প্রতি খেয়াল
ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। রূপবিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। হাত ও পায়ের যত্নে মনোযোগ বাড়িয়ে দিতে হবে। উপযুক্ত মালিশ করানো উচিত নির্দিষ্ট সময় অন্তর, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অনুযায়ী।

প্রতিরোধ, অতঃপর প্রতিকার
যেকোনো ব্যাপারে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই ভালো। তবু প্রতিরোধের সময় পেরিয়ে গেলে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে-জানান লেজার মেডিকেল সেন্টারের কনসালট্যান্ট ডারমাটোলজিস্ট ঝুমু খান। তিনি বলেন, 'আমাদের ত্বকের স্তর তিনটি। ওপরের স্তর এপিডার্মিস, যা চামড়া নামে পরিচিত। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এ স্তরের আর্দ্রতা কমতে থাকে। ত্বক মলিন হয়। বলিরেখা দেখা দেয় এ স্তরেই। এর পরের স্তর ডার্মিস, যেখানে থাকে কোলাজেন ও ইলাস্টেন। ত্বক টান টান রাখার দায়িত্ব এ স্তরের। বয়সের সঙ্গে টানটান ভাব কমতে থাকে। শেষ স্তরের নাম সাবকিউটেনাস টিস্যু। বয়স অনেক হয়ে গেলে ভেতরের এ স্তরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঝুমু খান আরও বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন এ ও ডি সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের পরিমান প্রচুর বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। হলুদ ফলমূল, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদির পরিমান খাদ্য তালিকায় বাড়াতে হবে। আমিষ খাওয়ার বেলায় মাংসের পরিবর্তে মাছের দিকে পক্ষপাতিত্ত বাড়ান। সে চর্চা কম বয়স থেকে থাকাই ভালো। বিশষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়া যেতে পারে বয়সের উপর ভিত্তি করে। চুল ও ত্বকের জন্য বাজারে ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্যাপসুল কিনতে পাওয়া যায়। মনে রাখা ভাল সেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিষেশজ্ঞের পরামর্শ জরুরী।

ব্যায়াম দেবে সুস্থতা - Fitness Cervices provide healthy

এই নগরে যার যার কাজ নিয়ে সবাই সকাল থেকে রাত অবধি ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করে। প্রতিদিন কাজ করার ফলে প্রত্যেকের শরীরে চলে আসে অলসতা। পিছিয়ে পড়তে হয় জীবনে চলার পথে গতির রেসে। শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বন্ধু ও সহকর্মীদের মধ্যে নিজেকে সুস্থ শরীরের অধিকারী হিসেবে তুলে ধরার জন্য আপনার শরীরকে রাখতে হবে সুস্থ-সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী। তাহলেই আপনি হতে পারবেন সবার সেরা।
শাহাদাত হোসেনের সেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই বাজার করতে করতে অফিসের সময় হয়ে যায়। অফিসের সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে, বাসার ফেরার পর ছেলেমেয়েদের পড়া দেখানোর পর রাতের খাবারের সময় চলে আসে। তখন সারা দিনের সব ক্লান্তি ভর করে চোখের পাতায়।
আরিফুর রহমানকে নিজের শরীরের জন্য বন্ধু মহলে শুনতে হয় নানা রকম কথা। ঘুম থেকে ওঠার পর সকাল আটটা থেকে চারটা পর্যন্ত ক্লাস করতে হয়। সন্ধ্যার পর টিউশনি করে ফিরতে ফিরতে ১০টা সাড়ে ১০টা বেজে যায়। নিজের পড়া শেষ করতে রাত গভীর হয়ে যায়। কিন্তু নিজের শরীর ঠিক রাখতে হবে নিজের দায়িত্বেই। শহরে এ রকম ব্যস্ত লোকের সংখ্যা বেশি। অনেকেই সময় নিয়ে যেতে পারে না জিমে। কিন্তু জিমে না গিয়েও শরীর ঠিক রাখা যায়। বাসা, হল ও মেসে যেখানেই আপনি থাকেন না কেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিনে আনতে পারেন ব্যায়ামের নানা উপকরণ এবং বাসা বা হলে বসেই ঠিক রাখতে পারেন আপনার শরীর। থাকবেন সুস্থ-সবল এবং কর্মক্ষেত্রে পেতে পারেন গতি।

নিজের ঘরই জিম
কর্মব্যস্ত এই শহরে বাইরে গিয়ে যখন শরীরচর্চার সুযোগ সীমিত, তখন নিজের ঘরটাকেই কিছু সময়ের জন্য বানিয়ে ফেলুন খোলা মাঠ বা জিমনেশিয়াম। ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ফিটনেস ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার ও প্রশিক্ষক এম আর মানিক বলেন, ঘরে করার উপযোগী ব্যায়ামগুলোর মধ্যে সাইক্লিং, জগিং, সুইমিং, স্কিপিং অন্যতম। এতে হৃৎপিণ্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। সব বয়সের নারী-পুরুষই এগুলো করতে পারে। বয়সের ওপর লক্ষ রেখে ব্যায়ামের বিষয় ঠিক করা উচিত। সাধারণত উঠতি বয়েসের ছেলেমেয়েদের করা উচিত ভারী ও ইনস্ট্রুমেন্টাল ব্যায়াম এবং একটু বয়সীদের করা উচিত হালকা ব্যায়াম। তবে যে ব্যায়ামই করা হোক না কেন, এর সময়সীমা ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়। আর দৈর্ঘø-প্রস্থে পেশি বাড়াতে হলে ডাম্বেল-বারবেল দিয়ে ব্যায়াম করা যায়। এ ছাড়া খেয়াল রাখা উচিত, শরীরের মেদ কমানোর প্রতি। এ ক্ষেত্রে স্পোর্টêস ব্যায়াম করা উচিত।

রকমারি ব্যায়াম
ব্যায়াম দুই ধরনের হয়ে থাকে। ১· ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ২· ইনস্ট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজ। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ দৌড়, হাঁটা, দড়িলাফ, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা ইত্যাদি। এটা সাধারণত বেশি বয়সীদের করা উচিত। ইনস্ট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজ উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েরা বেশি করে থাকে। এর মধ্যে ফ্লাইং, উইথ ওয়েট, পুশআপ, চিপআপ, ডাম্বেল, বারবেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ইনস্ট্রুমেন্টাল ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। যদি সেটা হয় পেশিবহুল শরীর গঠনের উদ্দেশ্য। তবে এ ধরনের ভারী ব্যায়াম করার আগে মাস তিনেক ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরটাকে গঠন করে নেওয়া দরকার। ইনস্ট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজ করার আগে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, ভুলে গেলে চলবে না আমাদের দেহের ভেতর লিভার, ফুসফুস, পাকস্থলী, হৃৎপিণ্ডর মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে। তাই এলোপাতাড়ি ব্যায়াম করে শরীর ঠিক রাখতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

দরদাম
ঘরে বসে ব্যায়াম করার উপযোগী যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে রানার মেশিন সাত হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। সাইক্লিং মেশিন তিন হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার টাকা। স্কিপিং রোপ দেশি ৫০, বিদেশি ১৫০ টাকা। জিম বল ৮০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা। ওয়েট লিফটি বেঞ্চ চার হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা । ডাম্বেল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৬৫ টাকা। পুশআপ ২২০ থেকে ৫৫০ টাকা। পাওয়ার টুইস্টার ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ম্যাসেজ স্টিক ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। রোয়িং মেশিন ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা। ইলেকট্রিক ম্যাসেঞ্জার ফুট পাঁচ হাজার ৫০০, এজি ওয়াকার তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা। ইলেকট্রিক বাইক পাঁচ হাজার ৫০০ থেকে আট হাজার। থ্রি ইন ওয়ান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এব কিং প্রো তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৮০০ টাকা। সিট আপ বেক ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। ব্যায়ামের ম্যাট ৫০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। স্টেডিয়াম মার্কেটের আইডিয়াল দোকানের কর্ণধার মো· আবু তাহের বলেন, এসব ছাড়াও রয়েছে মাল্টিজিম বা ওয়ানস্টেশন জিম, যেখানে একই সঙ্গে অনেক ব্যায়ামের সুবিধা পাওয়া যায়। এর দাম পড়বে ৪০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা। তবে মার্কেট ও দোকান ভেদে দামের কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে।

যেখানে পাওয়া যাবে
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যায়ামের সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এর মধ্যে স্টেডিয়াম মার্কেট, গুলিস্তান, গুলশান, বনানী, পান্থপথ, তেজগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলার পণ্য বিক্রি করার দোকানগুলোয় জিমের সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

মেনে চলুন কিছু নিয়মকানুন
বয়স ও শরীরের ওপর ভিত্তি করে সব লোকের জন্য ব্যায়ামের আগে-পরে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। গ্রুপ ফিটনেস জিম, ফিটনেস ওয়ার্ল্ডের কর্ণধার ও প্রশিক্ষক ফাহমিদা হক এবং এস আর মানিকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ব্যায়াম করার আগে ও পরে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এগুলো দেওয়া হলো-
— আলো-বাতাস আসতে পারে এ রকম ঘর বেছে নেওয়া উচিত ব্যায়াম করার জন্য।
— ব্যায়াম শুরু করার আগে ভালোমতো ওয়ার্ম আপ করে শরীর গরম করে নিন।
— শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ আগে হালকা কিছু খেয়ে নেবেন, যাতে শর্করা থাকে, সে সঙ্গে আধা গ্লাস পানি।
— দেহের ছন্দ আনার জন্য ব্যায়ামের সময় মিউজিক শুনতে পারেন।
— ব্যায়ামের সময় নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন, মুখ দিয়ে নয়।
— ব্যায়ামের মধ্যবর্তী বিরতির সময় যেন খুব বেশি না হয়।
— একবারে সব ব্যায়াম না করে ধারাবাহিকভাবে একটি একটি করে ব্যায়াম শেষ করুন।
— ব্যায়াম চলাকালে কোনো খাবার বা পানি না খাওয়াই ভালো।
— ব্যায়াম শেষে শরীর শিথিল হওয়ার জন্য সময় নিন।
— ব্যায়ামের পর গোসল করে নেওয়া ভালো।
— ব্যায়ামের পর পর পানি খাবেন না।
— খাবারের তিন ঘণ্টা আগে ও পরে ব্যায়াম করুন।
— ব্যায়ামের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। যেমন-বেশি ক্ষুধা লাগা, খুব ঘুম পাওয়া, শরীর ব্যথা করা এ জন্য ছেড়ে না দিয়ে প্রতি দিন চালিয়ে যান।
— ব্যায়ামের পর প্রোটিনযুক্ত খাবার খান।
— খাদ্যতালিকায় চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
— শাকসবজি ফলমূলের ওপর জোর দিন এবং প্রচুর পানি পান করুন।
— দিনে বা রাতে যেকোনো একসময় অভ্যাস করে ব্যায়াম করুন।
— নতুন কোনো ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Health care tips : আড্ডা, খোশগল্প শরীর সুস্থ রাখে - Gossiping, free discussion

বেশি কথা বলা অনেকেরই পছন্দ নয়। আর তা যদি হয় আড্ডা, খোশগল্প, পরচর্চা বা কোনো কিছুর সমালোচনা, সে ক্ষেত্রে বক্তার দিকে দৃষ্টি হয়ে থাকে আরও বাঁকা। জনশ্রুতি আছে, কথার এই তুবড়ি ছোটানোর বেলায় মেয়েরা নাকি এককাঠি সরস। বকবকানির এই দোষ মেয়েদের ওপর যতই চাপানো হোক না কেন, মন খুলে অনর্গল কথা বলার বেশ সুফলও রয়েছে। কথাটি মনগড়া বা বানোয়াট কিছু নয়, এটি বিজ্ঞানীদের গবেষণানির্ভর।
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী বলেছেন, খোশগল্প, পরচর্চা বা সমালোচনা করতে গিয়ে বেশি বেশি কথা বলার ব্যাপারটা শরীরকে আরও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আড্ডা, খোশগল্প বা পরচর্চায় 'প্রজেস্টেরন' নামের একটি হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। অন্যের সমালোচনা, খোশগল্প প্রভৃতি সামাজিক বন্ধন জোরদার ও মেয়েদের সুখী করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অধ্যাপক স্টেফানি ব্রাউনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ গবেষণা চালান। গবেষণার ফল হরমোনস অ্যান্ড বিহেভিয়ার নামের একটি সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়।
এই গবেষণার জন্য গবেষকেরা ১৬০ জন ছাত্রীকে বেছে নেন। তাঁদের দুই ভাগ করে দুজন দুজন করে জুটি বেঁধে দেওয়া হয়। এক দলকে আলোচনার মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেক জুটিকে তাঁদের বিশ্বের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিকে বেছে নিতে বলা হয়, যাঁদের তাঁরা খাবারের টেবিলে পাশে পেতে চান। বলা হয় তাঁদের করা মহত্তম কাজ সম্পর্কেও আলোচনা করতে। এভাবেই তাঁদের মধ্যে উসকে দেওয়া হয় মুখরোচক পারস্পরিক আলোচনার বীজ।
ছাত্রীদের অন্য দলটিকে উদ্ভিদবিজ্ঞানের একটি গবেষণামূলক নিবন্ধের কপির ভুল সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০ মিনিট পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রথম দলের ছাত্রীদের প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা হয় আগের মতোই আছে, নয়তো বেড়ে গেছে। অন্যদিকে কমে গেছে অন্য দলের ছাত্রীদের এই হরমোনের মাত্রা।
অধ্যাপক স্টেফানি ব্রাউন বলেন, সামজিক বন্ধন ও আচরণের সঙ্গে রয়েছে অনেক হরমোনের নিবিড় সম্পর্ক। আর এই হরমোনের প্রভাবেই উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমে যায়।
প্রজেস্টেরন হরমোনের উৎপত্তি হয় নারীর গর্ভাশয়ে। এটি গর্ভাশয়কে সন্তান ধারণের প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে। কোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধেও এটি কাজ করে থাকে।

Health care tips : ক্র্যাশ ডায়েটের ফর্দ - Crash Diet routine

শরীরের ওজনটা যখন আর কিছুতেই বশে আনা যায় না মূলত তখনই পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা শরণাপন্ন হন ক্র্যাশ ডায়েটের। এর উদ্দেশ্য বেমালুম মুটিয়ে যাওয়া মানুষদের অস্বাভাবিক ওজন এক সপ্তাহ বা এ ধরনের কোনো নির্ধারিত কম সময়ে অনেকটা কমিয়ে আনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওজনভেদে বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন রকম ক্র্যাশ ডায়েট দেয়া হলেও গড়পরতা মানুষদের কথা চিন্তা করে কড়চা'র এবারের ডায়েট বিভাগে এক সপ্তাহের একটি ক্র্যাশ ডায়েট চার্ট তুলে ধরা হলো।

ডায়েট চার্টের পয়লা দিন : খাদ্যের প্রসঙ্গে পরে আসি। আগে বলি মনের কথা। এতদিন যে আপনি বেশ মজা করে তাড়িয়ে তাড়িয়ে রাজ্যের খাবার খেয়েছেন প্রথম দিনে তার সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা হবে মনের সাথে যুদ্ধ। তবে এই যুদ্ধে যতই ক্লান্ত হয়ে পড়ুন না কেন প্রথম দিনে ফল ছাড়া আর কোনো খাদ্য সামগ্রীর দিকে কিন্তু ভুলেও হাত বাড়ানো যাবে না। তবে মেদভুড়ির বন্ধু বলে ফলের এই তালিকাতে কোনোক্রমেই রাখা চলবে না কলাকে। এছাড়া যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি যেমন তরমুজ, আম, পেপে, কমলা, আনারস প্রভৃতি যতটা সম্ভব বেশি খেতে হবে। অন্যান্য ফল এবং ফলের রসও খাওয়া যাবে। তবে ডাবের পানিতে গলা ভেজানো যাবে না।

দিন নম্বর টু : ভাত-মাছ-মাংসের জন্য প্রাণ কাঁদলেও ওমুখো হওয়া যাবে না। আর সেই অভাব পূরণ করতে খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে সবজি। ভাত ছাড়া সবজি খেতে বলায় আমাদের পাগল ঠাওড়াতে পারেন। কিন্তু কি করবেন বলুন। ডায়েট কাউন্সিলর আর ডায়েট বিষয়ক বই-পুঁথিও যে একই কথা বলছে। লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ডাঁটা, বরবটি, করোলা, কাঁচা পেপে, টমেটো, শসা থেকে শুরু করে যত ধরনের সবজি বাজারে পাওয়া যায় তার সব পদই চেখে দেখতে পারেন এদিন। সেই সাথে পানি খান প্রচুর পরিমাণে।

তৃতীয় দিনের কথা : প্রথম দিন ফল খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন খেয়েছিলেন সবজি। আর আজ খাবেন ফল ও সবজি দু'টোই। কি একটু হলেও নিশ্চয়ই মন ভাল লাগছে। তবে এ আনন্দে যত ধরনের ফল আর সবজি-ই উদরস্থ করুন না কেন ভুলেও হাত বাড়াবেন না কলা কিংবা আলুর দিকে। পানির সাথে বন্ধুত্বটা তৃতীয় দিনে আরো বাড়ান। সেই সাথে স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে চেখে দেখতে পারেন ভেজিটেবল স্যুপ। স্যুপে সামান্য তেল দেয়া যেতে পারে, কিন্তু মসলা নয় মোটেও।

চার নম্বর দিন : সবকিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় দিনের শুরুতেই শরীরের অতিরিক্ত মেদে ভাঙ্গন ধরবার কথা। কিন্তু শরীর যেন হঠাৎ করেই ভেঙ্গে না পড়ে তাই চতূর্থ দিনে মেদের কথা ভুলে কিছুটা পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে। আর এটা ভাবতে গিয়েই কলা খেতে হবে। হ্যাঁ, এতদিন ধরে যেই ডায়েট চার্টের সাথে কলার সাপে-নেউলে সম্পর্ক চলছিল সেই কলাই আজ আপনাকে খেতে বলছেন ডায়েট কাউন্সিলররা। তবে খুব বেশি ইচ্ছে হলে বড়জোর ২ হালি কলা খেতে পারেন। সেই সাথে খেতে হবে দুধ; কমপক্ষে তিন গ্লাস।

পঞ্চম দিনের খাদ্য : আজ আপনি গরুর মাংস খেতে পারবেন। চাই কি চেখে দেখা যাবে মুরগীর মাংস ও। ভাবছেন রসিকতা করছি। উহুঁ মোটেও নয়। সত্যি সত্যিই খানিকটা গরু কিংবা মুরগীর মাংস খেতে পারবেন ডায়েট চার্টের পঞ্চম দিনে। তবে শুধু শুধু মাংস না খেয়ে সাথে টমেটো কিংবা লাউ, কুমড়া দিয়ে রেঁধে খাবেন। মাংস রান্নার ক্ষেত্রে তেল-মসলা অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া মাংস খাবার সময় পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

ষষ্ঠ দিবসের ভাবনা : বেশ, বেশ, বেশ। আগের পাঁচদিন যদি সুবোধ বালক কিংবা বালিকার মতো সব পরামর্শ মেনে থাকেন তবে ষষ্ঠ দিনে পুরস্কার হিসেবে আপনি খেতে পারবেন সবজি এবং মাংস। তাও মেপে টেপে নয়, একেবারে উদরপূর্তি করে। অর্থাৎ এ দিন আপনার যত খুশি মাংস ও সবজি খেতে পারবেন। তবে এই আনন্দে রুটিন মাফিক পানি খাবার কথা ভুলবেন না।

আজ শেষ দিন : আজ মনের আনন্দে খেতে পারবেন ফ্রুট জুস, সবজি ও ভাত। আহ! সবজি দিয়ে ভাত মেখে খাবার পর যদি দেখেন শরীরের ওজনটাও খানিকটা কমেছে তবে আনন্দের মাত্রাটা ষোলআনা হতে বাধ্য। সাধারণ হিসেবে সাতদিনের ডায়েট চার্টে আপনার ওজন কমবার কথা প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজি। কিন্তু তাই বলে আবার ডায়েট চার্ট শেষ করবার আনন্দে তৎক্ষণাৎ গপাগপ বহুকিছু খেয়ে ফেলবেন না যেন। বরং ধীরে চলো নীতিতে পরিমাণমতো খাবার পথেই চলতে থাকুন। আর বাই-বাই বলুন মেদকে।

মনে রাখুন

০ সাতদিনে মনে করে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাসতো বটেই।

০ ভুলেও অ্যালকোহলের ত্রি-সীমায় ঘেরা যাবে না।

০ চা-কফি খেলেও তা খেতে হবে দুধ এবং চিনি ছাড়া।

০ সপ্তম দিনের আগে কোনোভাবেই কোনো ফ্রুট জুস খাওয়া যাবে না।

০ ডায়েট চার্ট ফলো করবার পাশাপাশি হালকা পরিশ্রমের কাজও চালিয়ে যান।

Health care tips - তবু ব্যায়াম - Excersice


01

মা হওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। দেহের ভেতর ছোট্ট যে দেহ, তার জন্য মায়ের যত্নের তাই শেষ নেই। সময়মতো খাওয়া, ঘুমানো আর সারাক্ষণ তার সুস্থতা কামনা করা। অনাগত সন্তানের সুস্থতার জন্য চাই মায়ের সুস্থ শরীর। সুস্থতার প্রশ্নে ব্যায়ামের বিকল্প আর কী আছে? অনাগত সন্তানের মায়ের ব্যায়াম কেন, কখন আর কীভাবে—সব প্রশ্নের উত্তর সাজিয়ে এই আয়োজন।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুনা সালিমা জাহান গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করেন সব সময়। তিনি জানান, নতুন মায়েদের জন্য ব্যায়াম আরও বেশি প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় কিছু আসন, প্রাণায়াম ও ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ দূরে রাখতে পারে বমি বমি ভাব, গ্যাস্ট্রিক, পা ব্যথা, কোমর ব্যথা ও আবেগীয় চাপকে। এ সময় শরীরে উৎপন্ন হয় রিলাক্সিন হরমোন, যা অস্থিসন্ধিগুলোকে নমনীয় করে তোলে। গর্ভকালীন সময়ে শরীরে বাড়ে অস্বস্তি। তলপেট স্ফীত হয়ে মেরুদণ্ডে চাপ পড়ে, ফলে পিঠে ব্যথা বাড়ে, আর কমতে থাকে রাতের ঘুম। তবে এসব সমস্যায় আরাম পাবেন গর্ভকালীন শরীর ও সময়োপযোগী কিছু ব্যায়াম চালিয়ে গেলে। যাঁরা আগে নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, তাঁরা হালকা ব্যায়ামগুলো চালিয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা, অ্যারোবিক্স, হালকা যোগব্যায়াম ও জগিং, সাইক্লিং করতেই পারেন। প্রতিদিন অন্তত ১০ বার যোনিদ্বার ও মলমূত্র ত্যাগের রাস্তা সংকুচিত ও প্রসারিত করার অভ্যাস করা উচিত। এর ফলে জরায়ু ও পায়ুপথের সমস্যা কমবে। নতুন ব্যায়াম করলে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে শুরু করবেন। তবে এক দিনে কখনোই ৩০ মিনিটের বেশি ব্যায়াম করবেন না। এমন কোনো সময় বা স্থানে ব্যায়াম করবেন না, যখন আপনি ঘেমে অস্থির হবেন। সকালে বা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন, প্রয়োজনে ফ্যান ছেড়ে নেবেন। স্বাভাবিক ফিটের সুতির পোশাক পরবেন। খুব আঁটসাট পোশাক পরবেন না। ব্যায়ামের আগে এক গ্লাস পানি ও হালকা খাবার খেয়ে নেবেন। তা একটি ফলও হতে পারে। পানিশূন্যতা যেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবেন। হঠাৎ মাথা ঘুরলে, দম বন্ধ ভাব হলে, বুকে বা মাথায় ব্যথা হলে ব্যায়াম করবেন না। বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে হলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন। মনে রাখবেন, এখানে যে ব্যায়ামগুলো দেয়া হল তার মধ্যে ১৬ সপ্তাহের পর চিৎ হয়ে শুয়ে কোনো ব্যায়াম করবেন না। আর নিয়মিত ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
গোল্ডস জিমের প্রশিক্ষক দয়িতা বলেন, 'প্রথম এক থেকে তিন মাস শুয়ে, তিন থেকে সাত মাস আসন আর সাত মাসের পর থেকে কিছু ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। সময় অনুযায়ী কিছু সহজ ব্যায়ামে চোখ বুলিয়ে নিন ঝটপট।'

মনে রাখা জরুরি, কিছু বিশেষ সময়ে ব্যায়াম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময়গুলো হলো—
 চিকিৎসকের নিষেধ থাকলে।
 উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
 জরায়ুপথে যেকোনো রক্তপাত হলে
 গর্ভাশয় বা ফুল উল্টো থাকলে
 আগে কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে
 গর্ভে যমজ শিশু থাকলে।

Health care tips : বডিবিল্ডিং ট্রেইনিং – বিশেষ করে রোগাদের জন্য - Special body building training for thin

free weight

যারা খুব রোগা-পাতলা এবং অনেক খাওয়ার পরেও ওজন বাড়ে না, তাদেরকে ইংরেজিরে হার্ডগেইনার বলে। সাধারণত এদের হাড় চিকন এবং মেটাবলিজম (সোজা বাংলায় হজম শক্তি) খুব দ্রুত হওয়ার ফলে যতই খান না কেন, সেটা গায়ে লাগে না। আমাদের বাংলাদেশে এ ধরনের গঠনই বেশি বলে চারদিকে শুধু রোগা-পাতলা মানুষ চোখ পড়ে। তবে এদের পক্ষে স্বাস্থ্য ভালো করে বা ওজন বাড়ানো একেবারে অসম্ভব ব্যাপার নয়। শুধু অন্যান্য রেগুলার পদ্ধতির চাইতে একটু ভিন্ন পদ্ধতিতে যেতে হবে। সেরকম একটি বিষয় নিয়েই খুব সুন্দর একটা লেখা রয়েছে এবাউট.কম ওয়েবসাইটে। আমরা সেটা থেকে সংক্ষেপে নিজেদের মত করে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
হার্ডগেইনারদের যেসব ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে-

১. ব্যায়ামের সময় যথা সম্ভব কম রাখতে হবে, বড়জোড় এক ঘণ্টা। কেননা পেশী বাড়াতে যে হরমোনের দরকার হয়, সেটা এক ঘণ্টা পরে কমে যেতে শুরু করে। তাই এক ঘণ্টার পরেও যদি ব্যায়াম চাইয়ে যান তাহলে পেশী ক্ষয় হতে শুরু করবে।

২. ব্যায়াম করার সময় একটা সেট শেষ করে আরেকটা সেট শুরু করার মাঝে যত কম বিশ্রাম নিতে পারবেন, তত ভালো। বড়জোড় ৯০ সেকেণ্ড বিশ্রাম নিবেন। তারপর আবার পরবর্তী সেটের ব্যায়াম শুরু করে দেবেন। বেশী বিশ্রাম নিলে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যেতে পারে।

৩. পর পর দুইদিনের বেশী একটানা ব্যায়াম করবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি একদিন পর পর ব্যায়াম করতে পারেন। মনে রাখবেন জিমে কিন্তু শরীর বাড়ে না। জিমে শুধু পেশীকে নাড়িয়ে দেয়া হয়, সেখানে যথাসম্ভব রক্তসঞ্চালন করে জাগিয়ে তুলতে হয়। পেশী বাড়ে যখন খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করে বাড়িতে ঘুমাবেন বা বিশ্রাম নিবেন তখন। এছাড়া পেশী যথেষ্ঠ বিশ্রাম পেলে পরের বার জিমে গিয়ে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করতে পারবেন। নইলে ক্লান্তি লাগবে, ব্যায়াম করার ইচ্ছে কমে যাবে।

৪. প্রতি সেট ব্যায়ামে ৬ থেকে ১৫ র‍্যাপ্‌স্‌-এর বেশী যাবেন না। হালকা ওয়েট নিয়ে বেশী র‍্যাপ্‌স্‌ দিলে শরীর মেয়েদের মত কোমল ও নরম গঠনের হয়ে যাবে। পেশী বাড়াতে চাইলে বেশী ওজন নিয়ে যত কম র‍্যাপ্‌স্‌ দিতে পারেন, তত ভালো।

৫. দিনের পর দিন একই রুটিনে ব্যায়াম না করাই ভালো। মাঝে মাঝে রুটিন চেঞ্জ করতে পারেন। অর্থাৎ কয়েক সপ্তাহ পরে মাঝের ব্যায়ামটা আগে, প্রথম ব্যায়ামটা মাঝে- এভাবে ঘুরিয়ে নিতে পারেন। এতে একঘেয়েমি লাগবে না।

৬. বেশী ওজন নিতে গিয়ে আবার ব্যায়ামের ফর্ম যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, সেটা দেখতে হবে। যেমন ধরুন হাতের পেশীর ব্যায়াম করছেন। অন্যদের সাথে পাল্লা দিয়ে বেশী ওজন নিতে গিয়ে হাতের পেশীর সাথে কাধের পেশীও ব্যবহার করলেন। এটা নিজের সাথেই এক ধরনের প্রতারণা। এটা কখনো করবেন না। অন্যের সাথে তুলনা না করে নিজের যেটুকু সামর্থ, সেটুকুই সঠিক ভাবে করবেন। এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা- কখনোই অন্যের বডির বা শক্তির সাথে নিজের তুলনা করবেন না। এতে হীনমন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। আপনি আপনার বডির বেস্ট ফর্মে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। অর্থাৎ পাল্লাটা হবে নিজের সাথে, নিজের বর্তমান অবস্থা থেকেও আরো বেটার অবস্থানে যাওয়ার।

৭. দৌঁড়ানো, হাঁটা, সাঁতার, সাইকেল চালানো- এই টাইপের বাড়তি কাজ যতটা সম্ভব কম করবেন। কেননা এতে আরো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

৮. জিমের মেশিন এড়িয়ে চলবেন। ফ্রি ওয়েট ব্যবহার করবেন।

৯. রুটিন বানিয়ে ব্যায়ামের নোট রাখবেন। এতে হিসাব থাকবে যে এই সপ্তাহে কত ওজন নিতে পারলেন, বা কতটা র‍্যাপ্‌স্‌ দিতে পারলেন। পরের সপ্তাহে চেষ্টা করবে সেই একই ব্যায়ামে ২ কেজি বা ৫ পাউণ্ড ওজন বাড়াতে। যেমন ধরুন- ৫০ কেজি দিয়ে ৮ বার বেঞ্চপ্রেস দিতে পারলেন এই সপ্তাহে। পরের সপ্তাহে টার্গেট থাকবে ৫২ কেজি দিয়ে ৮ বার দেয়ার। কিংবা ধরেন এই সপ্তাহে ৫টা পুল-আপ দিতে পারলে পরের সপ্তাহে ৬টা দেবেন। এগুলো হিসাব রাখতেই রুটিনের নোট রাখা উচিত। এতে বুঝতে পারবেন আপনার ব্যায়ামের এবং শক্তির কতটা উন্নতি হচ্ছে। (যারা সিরিয়াস, তারা এইটা অবশ্যই করবেন।)

১০. দুই সপ্তাহ পর পর শরীরের ওজন এবং ফিতা দিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশের মাপ নিবেন। এটাও লিখে রাখবেন। টার্গেট রাখবেন প্রতি দুই সপ্তাহে ২ কেজি করে ওজন বাড়াতে। (খুব তাড়াতাড়ি মাপ ও ওজন লিখে রাখার একটা রুটিন করে দেয়া হবে পিডিএফ আকারে)

(আরো টুকটাক টিপস থাকলে আমরা এখানে যোগ করে দেব।)

এবার আসি রুটিনের ব্যাপারে। যারা খুব রোগা এবং যারা দ্রুত কিছু ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য একটা ব্যায়ামের স্যাম্পল রুটিন। তবে বিশ্বাস করুন, এই সম্পর্কিত যতগুলো রুটিন আছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম এবং কার্যকরী। এই রুটিনে নিজের মত করে সপ্তাহকে ৭ দিনের বদলে ৮ দিন করে নেবেন। একদিন পর পর করে চারদিন ব্যায়াম করে আবার প্রথম থেকে শুরু করবেন। ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া, বিশ্রাম আর ব্যায়াম করে যেতে পারলে ৬ সপ্তাহ পর থেকেই শরীরে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

Health care tips : পেটের মেদ কমবে যেভাবে - Exercise of fat reduce

peter beyam

অনেকেরই সুগঠিত দেহ। কিন্তু কেন জানি হঠাৎ করে পেটে মেদ জমতে শুরু করেছে। পোশাকের ভেতর থেকে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে ভুঁড়ি। সে বড় বিব্রতকর অবস্থা। ভুঁড়ির জন্য কাজেকর্মেও গদাই লস্করি একটা ভাব চলে এসেছে। পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে মেনে চলুন কিছু সাধারণ নিয়মকানুন। আর দেখুন না শরীরটাও কেমন ঝরঝরে হয়ে ওঠে। শরীর মেদহীন রাখতে কী খাবেন আর কী খাবেন না, এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।
 শর্করা ও চিনি আছে এমন খাবার কমাতে হবে।
 প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
 চর্বিজাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
 খাওয়ার পরপরই বসে থাকা কিংবা শুয়ে থাকা যাবে না।
 একাধারে অনেকক্ষণ বসে থাকা যাবে না।
 কোমল পানীয় এবং কৃত্রিম ফলের রস খাওয়া মানা।
 আঁশযুক্ত শর্করা খেতে হবে, কিন্তু পরিমাণে অল্প।
 দিনে প্রচুর পানি খাবেন, কিন্তু খাবারের সঙ্গে কিংবা একবারে অনেক পানি খেয়ে ফেলা যাবে না।
 মেদ কমানোর ডায়েট শুরু করার আগে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

পেটের ব্যায়াম
 প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে দৌড়াতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট।
 সাইকেলিং করতে পারেন কমবেশি পাঁচ মিনিট। যদি সাইকেলিং করার সুযোগ না থাকে, অন্য ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করুন।
 প্রথমেই খালি হাতে খানিকটা ব্যায়াম করে মাংসপেশিকে উজ্জীবিত করে নিন। এটা হবে নিদেনপক্ষে পাঁচ মিনিট।
 দড়ি লাফানোর অভ্যাস করতে পারেন। পাঁচ মিনিট করে করুন।
ফিটনেস ওয়ার্ল্ড হেলথ ক্লাবের ব্যবস্থাপক ও প্রশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বললেন, 'ওপরের এই ব্যায়ামগুলো সব ধরনের ব্যায়াম শুরু করার আগেই করে নিলে ভালো। এতে মাংসপেশি শিথিল হয়ে শরীর ব্যায়ামের উপযোগী হয়ে ওঠে।' এবার পেটের মেদ কমাতে করতে হবে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম। প্রশিক্ষক মনিরুজ্জামানের কাছ থেকেই জেনে নেওয়া যাক তা।
 প্রথমেই শক্ত বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে মাথার পেছনে দুই হাত সোজা করে রাখুন। পা মাটির সঙ্গে জোড়া করে লাগানো থাকবে। এবার পুরো শরীর আস্তে আস্তে ওপরে তুলে হাত দিয়ে পা স্পর্শ করতে হবে। এভাবে ১০ বার করে তিনবার করুন।
 শোয়া অবস্থাতেই এবার হাত থাকবে কোমরের নিচে, দুই পা থাকবে সোজা। শরীর ও হাত স্থির হয়ে থাকবে। এবার পা দুটো আস্তে আস্তে একসঙ্গে ওপরে তুলতে হবে আবার নামাতে হবে। পুরো সময়ে পা মাটিতে ছোঁয়ানো যাবে না। এভাবে ১০ বার করে তিনবার করুন।
 বিছানায় শুয়ে থেকেই এবার দুই হাত ভাঁজ করে মাথার পেছনে নিন। ডান পা ভাঁজ করে মাটি থেকে তুলে ডান হাঁটু বাঁ কনুইয়ে লাগানোর চেষ্টা করুন। এবার হবে ঠিক উল্টো, বাঁ পা ভাঁজ করে মাটি থেকে তুলে বাঁ হাঁটু ডান কনুইয়ে লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড করে তিনবার করুন।

Health care tips : পেটের চর্বি কমাতে আলাদা ব্যায়াম? - Extra exercise for reduce fat

খাবার নিয়ন্ত্রণ করছেন, নিয়মিত হাঁটাহাঁটিও করছেন, ওজনও একটু একটু করে কমছে, কিন্তু পেটটা তো কিছুতেই কমছে না। অনেকেই এ অভিযোগ করে থাকেন। পেটের চর্বি বা মেদ দেহের অন্যান্য মেদের চেয়ে আলাদা এবং বেশি ক্ষতিকর।

শরীরের অন্য অংশের মেদ সাধারণত ত্বকের নিচে জমে থাকে। কিন্তু পেটের মেদ ত্বকের নিচে ও পাশাপাশি যকৃৎ, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গের গায়ে লেগে থাকে। তাই পেটের চর্বির সঙ্গে হূদেরাগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে।

অনেকেই পেটের চর্বি কমানোর জন্য বেলি স্ট্রোক অর্থাৎ পেটের মাংসপেশির ব্যায়াম করে থাকেন। কারও ধারণা, পেটের চর্বি সাধারণ ব্যায়ামে কমে না। এর জন্য আলাদা ব্যায়াম করতে হবে। কিন্তু আলাদা ব্যায়ামে পেটের পেশির আকৃতি সুন্দর হলেও চর্বি কমাতে খুব একটা কাজে আসে না। পেটের চর্বি কমাতে দেহের সার্বিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই যথেষ্ট।

সপ্তাহে চার দিন আধঘণ্টা অ্যারোবিক ব্যায়াম দেহের অন্যান্য মেদের সঙ্গে পেটের মেদকেও কমিয়ে আনবে। জগিং, ট্রেডমিল, সাইকেল চালানো ইত্যাদি হলো এ ধরনের ব্যায়াম। কেউ দ্রুত পেটের চর্বি ভাঙতে চাইলে আরেকটু বেশি ব্যায়ামের দরকার হতে পারে। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাঁটার পর দেহে সঞ্চিত চর্বি ভাঙতে শুরু করে এবং পেশি তা ব্যবহার করে। এই সময়ের পর আরও ১০ থেকে ১৫ মিনিট জগিং করলে বা জোরে হাঁটলে প্রতিদিন একটু একটু করে জমানো চর্বি কমতে থাকবে।

এর সঙ্গে চর্বি ও তেলযুক্ত খাদ্য পরিহার করে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় খাদ্য ও শাকসবজি গ্রহণ করতে হবে। পরিমিত আহার করতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ১০ গ্রাম আঁশ খেতে হবে। মেদ কমানোর সাধারণ এসব উপায়ে দেহের অন্য অংশের মেদের সঙ্গে পেটের চর্বিও কমবে। এর জন্য আলাদা ব্যায়ামের দরকার হবে না।

Health care tips : সময় নেই, ব্যায়াম করব কখন? - Exercise no time?

beyam

আপনি সময় পান না বলে ব্যায়াম করেন না। কিন্তু ভালোভাবেই জানেন, নিয়মিত ব্যায়ামে শরীর মন ভালো থাকে। যাকে বলে জিরো-সাইজ, সেটাও হয়। আজকাল জগিং, সাঁতার, সাইক্লিং—এসব তো চলছেই। চায়ের আসরে সবাই গল্প করে, এই জানিস, আজ হেলথ ক্লাবে না রিয়ার সঙ্গে দেখা, ও বলল…।

আপনি একঘরে হয়ে পড়লেন। তাহলে কী করা? হ্যাঁ, নো প্রবলেম। এরও সমাধান আছে। সময় নেই? ও কিছু না। মাত্র পাঁচ মিনিট। হ্যাঁ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ মিনিটই যথেষ্ট। সকালে বা সন্ধ্যায় কাছের কোনো পার্কে, না হলে একটু নিরিবিলি রাস্তায় জোরসে দৌড়। দিনের জন্য এটাই যথেষ্ট। ফিটফাট শরীর বা জিরো-ফিগার, যা চান সবই পাবেন। ভাবছেন, এটা আবার কোনো ব্যায়াম হলো, বন্ধুরা শুনলে তো হাসবে! আরে না না। অত কাঁচা কাজ কি আপনি করবেন। এটা তো আপনার মস্তিষ্কজাত উদ্ভট ফর্মুলা নয়।

নিউইয়র্ক টাইমস (জুলাই ৩০, ২০১৪) বলছে, ব্যায়াম ও মৃত্যুহার সম্পর্কে ব্যাপক পরিসরে পরিচালিত জরিপে জানা গেছে, দিনে মাত্র পাঁচ মিনিট দৌড়ালে অস্বাভাবিক মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা যায়। এদের মৃত্যুঝুঁকি অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কম। তাঁদের আয়ু, যাঁরা মোটেও ব্যায়াম করেন না তাঁদের চেয়ে গড়ে অন্তত তিন বছর বেশি বলে নিরীক্ষায় জানা গেছে। তার মানে রোগবালাই, কঠিন অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়। মন প্রফুল্ল থাকে। ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে ২০০৮ ফেডারেল ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি ফর আমেরিকাসে হাজার হাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, সুস্বাস্থে৵র জন্য সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটুন। তবে একটু জোরে হাঁটলে বা দৌড়ালে একই উপকারিতা পাওয়া যাবে। দিনে পাঁচ মিনিটের দৌড় সেখান থেকেই এসেছে। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট না হাঁটতে পারলে, সপ্তাহে দুই দিন পাঁচ মিনিট করে আর শুক্র-শনি ১৫ মিনিট করে দৌড়ান, আপনি একদম ফিট। জেনে নিন আরও কিছু টিপ্স।


যদি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস না থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরু করুন ধীরে ধীরে। প্রথম সপ্তাহে দিনে দুই মিনিট জোরে দৌড়, এরপর পাঁচ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা। পরের সপ্তাহে তিন মিনিট করে দৌড়, তিন মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা। লক্ষ রাখুন, শরীর নিতে পারছে কি না। যদি চাপ পড়ে, তাহলে আরও ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। ধীরে ধীরে এক মাসে দিনে পাঁচ মিনিট হাঁটায় অভ্যস্ত হোন।
২ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ভাজাপোড়া, ট্রান্সফ্যাটে তৈরি খাবার নিষেধ।
৩ পরিষ্কার বাতাসে দৌড়ান। ধুলাবালু বেশি থাকলে সমস্যা।
৪ আপনার জন্য ২৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটে এক দিন। বাকি ১৫ মিনিট আপনার নয়, ব্যায়ামের! এভাবে হিসাব করলে আপনি যত ব্যস্তই থাকুন, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম কঠিন কিছু হবে না।
৫ আপনার বয়স বেশি বা হার্ট-লাংসের সমস্যা থাকলে প্রথমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Health care tips : বয়স যখন ষাটোর্ধ্ব - Age after 60

aging

বার্ধক্যে পুষ্টিবার্ধক্যে কায়িক শ্রম কমে যায়, কমে যায় খাবারে দৈনিক ক্যালরি চাহিদাও। কিন্তু সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের প্রয়োজনীয়তা বজায় থাকে। আবার খাবারে রুচি কমে যাওয়া বা নানা ওষুধের প্রতিক্রিয়া অনেক সময়ই বৃদ্ধ ব্যক্তিদের দুর্বলতা, অবসাদ বা ক্লান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় তাঁরা নিজের প্রয়োজন বা চাহিদার কথা ভালো করে বুঝিয়ে বলতেও পারেন না। গবেষণা বলছে, বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রয়োজনের তুলনায় ৪০ শতাংশ খাবার কম খেয়ে থাকেন। তাই বাড়ির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিটির পুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাসের দিকে সবারই বিশেষ নজর দেওয়া দরকার।

 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হূদেরাগ, কিডনি জটিলতাসহ নানা সমস্যা। সে অনুযায়ী গড়ে তুলতে হবে খাদ্যাভ্যাস। যেমন: পাতে লবণ ছেড়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোকে নতুন করে হলেও রপ্ত করতে হবে। দীর্ঘদিনের পুরোনো অভ্যাস যেমন জর্দা-পানকে হঠাৎ করে বিদায় দিতে হয়তো চাইবেন না তাঁরা, কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলতে হবে।

 দাঁত পড়ে যাওয়া বা নড়বড়ে হওয়ার কারণে শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়া সম্ভব হয় না অনেকের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, শুধু তরল বা আধা শক্ত খাবারে যেন সুষম খাদ্যের সবটুকু উপাদানই বজায় থাকে।

 বয়স বাড়ার সঙ্গে হজমশক্তিও হ্রাস পায়, পরিপাকে বিঘ্ন ঘটে। তাই এ সময় সহজপাচ্য খাবারই বেছে নেওয়া ভালো। গুরুপাক, বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার, কেনা ও ভাজাপোড়া খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। আলু, মাছ, ডিম ইত্যাদি সহজপাচ্য খাদ্য। আবার কোষ্ঠকাঠিন্যও একটি সাধারণ সমস্যা। এটি এড়াতে আঁশযুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও রোজ ইসবগুলের ভুসির শরবত দেওয়া যায়।

 বয়স্ক ব্যক্তিদের একাকিত্ববোধ, হতাশা, বিষণ্নতা ইত্যাদি মানসিক সমস্যার ঝুঁকি বেশি। এসব কারণে প্রায়ই দেখা দেয় খাবারে অনীহা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসব মানসিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।

 প্রতি কেজি ওজন অনুযায়ী দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ দরকার হয়। মাছ-মাংস বেশি খেতে না পারলে এই আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মুরগির স্যুপ, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া উচিত। কাঁচা শাকসবজি বা ফলমূল হজম না হলে সবজির স্যুপ ও ফলের রস করে দেওয়া যায়। ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে দুধ বা দই প্রতিদিনের তালিকায় রাখা উচিত।

 বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উপযোগী কিছু খাবার হলো নরম খিচুড়ি, দুধ বা দই দিয়ে চিড়া, স্যুপ, দুধ-রুটি বা দুধ-সাগু ইত্যাদি। নাশতা হিসেবে ফলের রস, পুডিং, সবজির যেমন: গাজরের হালুয়া, ফলমিশ্রিত কাস্টার্ড ইত্যাদি। একই খাবারে বিরক্তি বোধ করলে খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

Body care tips : পিত্তথলিতে পাথর? - Stone on galbladder


pathor

পিত্তথলিতে পাথর হওয়া খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। চারপাশের অনেকেরই কাছ থেকে এই অভিজ্ঞতা শোনা যায়। এই পাথর কি সত্যি সত্যি পথের কুড়িয়ে পাওয়া নুড়ি পাথরের মতো, নাকি অন্য কিছু? আর কীভাবেই বা সন্দেহ হবে যে পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে আপনার?

পাথর আসলে কী?
পিত্তথলির পাথর আসলে ছোট ছোট বালুর দানার মতো থেকে শুরু করে মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটা নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথরটা তৈরি তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে এবং হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙেরও হতে পারে। পেটের ডানদিকে যকৃতের পেছনে ও তলার দিকে থাকে পিত্তথলি। পিত্তরস তৈরি করাই এর কাজ। খাবার হজমে, বিশেষ করে চর্বিজাতীয় খাবার হজম করতে পিত্তরস দরকার হয়। নানা কারণে এই পিত্তথলিতে বিভিন্ন পদার্থ অতিরিক্ত জমে গিয়ে পাথরের সৃষ্টি করে।

কাদের হয় বেশি?
স্থূল ও ওজনাধিক্য ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর বেশি হতে দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়স, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাবার অভ্যাস, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

কীভাবে বুঝবেন?
পিত্তথলির অবস্থানটা পেটের কোথায় তা আগেই বলা হয়েছে। পিত্তথলিতে পাথর হলে এতে প্রদাহ হয়, যাকে কোলেসিস্টাইটিস বলা হয়। তখন ওপর পেটের ডানদিকে তীব্র ব্যথা হতে পারে। মিনিট খানেক হতে ঘণ্টা খানেক স্থায়ী হতে পারে এই ব্যথা। পেটের পেছন দিকে, কাঁধে, পেটের মাঝ বরাবর এমনকি বুকের ভেতরও ছড়িয়ে পড়তে পারে ধীরে ধীরে। সেই সঙ্গে বমি ভাব বা বমি, হালকা জ্বর ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পাথর পিত্তথলি থেকে বোরোতে গিয়ে পিত্তনালিতে আটকে যায় এবং তখন বিলিরুবিনের বিপাক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার দরুন জন্ডিসও হতে পারে। রোগ নির্ণয়ের জন্য এই উপসর্গের পাশাপাশি পেটের আলট্রাসনোগ্রামই যথেষ্ট। পাথরের অবস্থান জানতে বা প্রয়োজনে বের করতে ইআরসিপি জাতীয় পরীক্ষা করা যেতে পারে। তবে পেটের আলসার, যকৃতের কোনো সমস্যা বা এমনকি হূদেরাগেও কাছাকাছি ধরনের ব্যথা হতে পারে বলে সেগুলোর অবস্থাও নির্ণয় করে নেওয়া দরকার হয়।

চিকিৎসা কী?
প্রদাহ ও তীব্র ব্যথার সময় কোনো অস্ত্রোপচার করা হয় না। সাধারণত কয়েক দিনের জন্য মুখে খাদ্য গ্রহণ বন্ধ করে দিয়ে স্যালাইন, অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক উপশমের চেষ্টা করা হয়। পরে পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার অস্ত্রোপচারটি সপ্তাহ দুয়েক পর বা দু-তিন মাস পর করলেও ক্ষতি নেই। পেট কেটে বা ফুটো করে—দুভাবেই এই অস্ত্রোপচার করা যায়। তবে পিত্তনালিতে পাথর আটকে গিয়ে থাকলে ইআরসিপি যন্ত্রের সাহায্যে সেটি বের করে আনা হয়।

Body beauty tips : ওজন কমাতে শর্করা একেবারেই বাদ? - Carbohydrate help to reduce weight

Adhuna

বাড়তি ওজনের জন্য অনেকেই শর্করাজাতীয় খাবারকে দায়ী করেন। ভাবেন, 'নো কার্ব' বা শর্করা বর্জন ওজন কমানোর চাবিকাঠি। আসলে তা নয় এবং সেটা সম্ভবও নয়। কারণ, শকর্রাবর্জিত খাবার দিনের পর দিন খেতে থাকলে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হয়তো দু-চার দিন এ ধরনের খাবার গ্রহণ করা যায়, দিনের পর দিন নয়। যেমন—মাছ, মাংস, ডিম, তেল, ঘি, মাখন এগুলো একেবারেই শর্করাবর্জিত খাবার। ভাবুন তো, এসব খাবার খেয়ে কি জীবন কাটাতে পারবেন? আসলে সবই খেতে হবে, তবে তা হওয়া উচিত পরিমিত।

শর্করাজাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া যাবে বা যাবে না সে ব্যাপারে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান আখতারুন নাহার বলেন, শর্করা শক্তির অন্যতম উৎস। পুষ্টিবিজ্ঞানের মতে, মানুষের প্রতিদিনের খাবারে মোট ক্যালরির ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। তবে যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে শর্করার অংশটি ভাত-রুটি ইত্যাদি মিলে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হলেই ভালো হয়।

আখতারুন নাহারের মতে, শিশুদের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। তবে তাদের খাবারে অবশ্যই শরীর গঠনকারী উপাদান বা দুধ থাকতেই হবে। যদিও দুধে আছে পর্যাপ্ত শর্করা। খাবারের মধ্যে শর্করা থাকে বিভিন্ন রূপে। যেমন—গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, গ্যালাক্টোজ, সুক্রোজ, মল্টোজ। আমাদের দেহের কার্যপ্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ প্রয়োজনীয় উপাদান। ফ্রুক্টোজ হলো ফলের চিনি। সুক্রোজ প্রায় সব উদ্ভিদেই কমবেশি থাকে। তবে আখ ও বিটে থাকে উচ্চমাত্রায়। এ জন্য এই দুটো দিয়ে সহজেই চিনি তৈরি করা যায়। ল্যাক্টোজ হলো দুধের চিনি। অঙ্কুরিত শস্যের মধ্যে মল্টোজ থাকে। গ্লুকোজ একাই স্নায়ুতন্ত্রের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। এ কারণে শর্করাজাতীয় খাবারের অভাবে শরীরে দহন ক্রিয়া থেমে যায়। এর ফলে কিটোন বডি নামে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন হয়। শর্করা বাদ দেওয়া যেমন খারাপ, তেমনি অতিরিক্ত শর্করা খাওয়াও ক্ষতিকর। কেননা অতিরিক্ত শর্করা শরীরে চর্বি তৈরি করে। ফলে ওজন বেড়ে যায় ও অন্ত্রকে উত্তেজিত করে। এ জন্য শর্করা খেতে হবে সীমিত পরিমাণে, তবে একেবারে বর্জন নয়।

শিশু, কিশোর ও বয়স্কদের বেলায় একইভাবে জাঙ্ক ফুড অর্থাৎ পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, কোমলপানীয় বন্ধ করে সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারণ, জাঙ্ক ফুডে ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। সুষম খাবার গ্রহণ করতে গেলে খাবারের সব কয়টি উপাদান যেমন—আমিষ, শর্করা, চর্বি যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে হবে।
মোদ্দা কথা হলো, কোনোটাই বাদ দেওয়া যাবে না আবার কোনোটাই অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।

Teeth beauty tips : শিশুর দাঁতের ক্ষয়রোগ - Teeth care of baby


teeth-baby

শিশুর শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য তার মুখগহ্বরের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। জন্মের পর থেকে শিশুর এই যত্ন শুরু করা চাই। আর শিশুর বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের যত্ন পুরোদমে নিতে হবে।

শিশুর ডেন্টাল কেরিজ বা ক্ষয়রোগে দাঁতের অবস্থা, ব্যাকটেরিয়া জীবাণুর উপস্থিতি ও শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ—এ তিনের ভূমিকা প্রধান। স্টেপটোককসাই মিউটেনম নামের মুখগহ্বরের ব্যাকটেরিয়া দাঁতের এনামেল নষ্ট করে প্রধানত ক্ষয়রোগের সুযোগ সৃষ্টি করে। পরে তার সঙ্গে যোগ হয় অন্য জীবাণু।

যখন মা-বাবা শিশুকে জুসভর্তি ফিডার বা বোতল মুখে পুরে দিয়ে ঘুমানোর কাজ সারেন—তা নিঃসন্দেহে দাঁত ক্ষয়ের পথ সুগম করে দেয়। দাঁতের ক্ষয়রোগ উৎপাদনে মুখের ভেতর বেশিক্ষণ ধরে পুরে রাখা শর্করাযুক্ত খাবার অনেকাংশে দায়ী। এ ক্ষেত্রে চুইংগাম বিভিন্ন কোমল পানীয়র শর্করার তুলনায় বেশি ক্ষতিকর।

সাধারণভাবে মোলার দাঁতের (ভেতরের দাঁত) প্রান্ত থেকে ক্ষয় বা পোকায় খাওয়া শুরু হয়। এই পর্বে তা থামানোর ব্যবস্থা না করা হলে দাঁতের আরও গভীরে ঢোকে। পালপাইটিস হয়, মাড়িতে ও দাঁতের চারপাশে পুঁজ, প্রদাহ হয়। আরও ছড়িয়ে তা পাশের দাঁত নষ্ট করে, চোয়ালের অস্থিও ছুঁতে পারে বা মুখ ও মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে যায়।

নষ্ট হওয়া দাঁত চিহ্নিত করতে হবে আগে। ব্যথা-বেদনার জন্য ওষুধ দিতে হবে। সংক্রমণ কতটুকু ছড়িয়েছে, তার ওপর নির্ভর করে খাওয়ানোর

কিংবা ইনজেকশনের সাহায্যে অ্যান্টিবায়োটিকস দেওয়া যেতে পারে।

প্রতিরোধটাই আসল। শিশুর প্রতি রাতে ও সকালে দুবার ব্রাশ করা, নিয়মিত মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য-পরিচর্যা মানানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরও জরুরি শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাসে বোতল ফিডার ব্যবহার না করা।

Skin beauty tips : শীতে ত্বকের যত্ন - Skin care on winter


winter-skin-care

শীতকালে শুষ্ক শীতল হাওয়া ও বাতাসে বেড়ে যাওয়া ধুলাবালুর কারণে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এর ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা, যেমন ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে চুলকানি ইত্যাদি। তাই শীতকালে ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় দরকার বাড়তি যত্ন ও সতর্কতা।
ত্বকের শুষ্কতা
শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। তাই শীতকালে গোসলে সাবান কম ব্যবহার করুন। আর করলেও ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে।
রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ত্বকের আর্দ্রতা ও ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে রোজ গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল অথবা লিকুইড প্যারাফিন মাখতে পারেন।
চুলের যত্ন
শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন
এ সময় ১০ ভাগ ইউরিয়া, ভেসলিন লাগালে হাতের তালু অনেকটা মসৃণ হয়ে আসে। শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়।
৫ ভাগ সেলিসাইলিক অ্যাসিড অয়েন্টমেন্ট অথবা ভেসলিন নিয়মিত মাখতে পারেন।
মুখের যত্ন
ভালো ময়েশ্চা-রাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।
শীত আসছে বলে ভাববেন না যে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীতা কমে গেছে। শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের যত্ন
ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়।
কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভেসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন এবং দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন।
যাঁদের পুরোনো চর্মরোগ যেমন সোরিয়াসিস, একজিমা, ইকথায়সিস ইত্যাদি আছে, তাঁদের ত্বকের সমস্যা এই সময় বেড়ে যেতে পারে। তাই তাঁদের হতে হবে আরও সচেতন। প্রয়োজনে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Wednesday, October 28, 2015

চুল পড়া পুরোপুরি বন্ধ করার কার্যকরী ঘরোয়া টিপস - Home tips for stop hair fall

চুলের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। এখনকার মেয়েদের কমবেশি সবারই চুল পড়ে। এমতাবস্থায় পার্লারে গিয়ে চুলের ট্রিটমেন্ট করা বেশ সময় ও ব্যয় সাপেক্ষও। কিন্তু কথায় আছে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। এই কথাকেই সামনে রেখে আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চটজলদি কিছু যত্ন, যা খুব সহজেই চুল পড়া বন্ধ করবে, চুল ঘন, কালো ও মজবুত করবে।


হাতের খুব কাছের সামান্য কয়েকটা উপাদান দিয়েই আপনি সেরে ফেলতে পারেন আপনার অমূল্য চুলের যত্ন। এ জন্য আপনি তৈরি করতে পারেন নিয়মিত ব্যবহারের জন্য তেল।

যা যা লাগবে –

১। মেহেদি পাতা (৪/৫ মুঠো সমপরিমাণ) ও

২। সরিষার তেল (২৫০ মিলি. সমপরিমাণ)।

প্রণালীঃ

প্রথমে মেহেদি পাতাগুলো ডাল থেকে বেছে আলাদা করে নিন। তারপর একটি পাত্রে পাতাগুলো নিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন, যাতে পাতাতে কোনো ময়লা লেগে না থাকে। ধোয়া হয়ে গেলে পানি ঝড়িয়ে নিতে পারেন অথবা কোনো পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন।

এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে ২৫০ মিলি. সরিষার তেল নিয়ে চুলায় কম আঁচে দিয়ে দিন। আপনি চাইলে আরও কম পরিমাণে তেল Oil নিতে পারেন। তেলটা হালকা গরম হয়ে গেলে তাতে মেহেদি পাতার কিছু অংশ দিয়ে দিন। তারপর হালকা জ্বাল দিতে থাকুন, যাতে পুড়ে না যায়। যখন তেলে ফেনা উঠে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর আবার চুলায় বসিয়ে দিন। এরপর আস্তে আস্তে বাকি মেহেদি পাতাগুলো তেলে দিয়ে দিন। আগের নিয়মে একই ভাবে তেলে ফেনা উঠে গেলে চুলা থেকে কিছু সময়ের জন্য নামিয়ে রাখুন। এভাবে কিছুক্ষণ করার পর চুলা থেকে একেবারেই নামিয়ে রাখুন।

Hair beauty tips : চুলের সঠিক পরিচর্যায় ডিম ব্যবহারের ৫টি সহজ পদ্ধতি - Use egg for better treatment of hair

হঠাৎ করেই হাত চলে গেলো মাথায়, আঙ্গুলের সাথে উঠে এলো চুল, মন খটমটে হয়ে উঠল। যা অবস্থা তাতে ত দেখছি দু দিনেই মাথা খালি হয়ে যাবে। এখন উপায়? চলুন উপায় জেনে নিই চুলের রুক্ষতা ও পরিচর্যায় ডিম ব্যবহারের কয়েকটা সহজ পদ্ধতি:


১। সাধারণ ডিম:
ডিম আপনার চুলে প্রোটিন সরবরাহের জন্য প্রধান সুত্র। শরীর গঠন এবং এটি শক্তিশালী করা ছাড়াও, এটি বৃহৎ পরিসরে আপনার চুলের মান উন্নয়ন করে।

দুটি ডিম ভেঙ্গে একটি একটি পাত্রে ঢালুন এবং ফেটুন, এরপর তা আপনার চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত ছড়িয়ে দিন, ৩০মিনিট রাখুন। এর পর চুল ধুয়ে ফেলুন, গন্ধ হতে পরিত্রাণ পেতে শ্যম্পু করুন।

২। ডিম প্যাক:
প্রোটিন আপনার চুল মসৃন এবং শক্তিশালী করবে, চুলের হারানো উজ্জল্য ফিরিয়ে আনার জন্য ডিম মাস্ক ব্যবহার করতে পাড়েন, চুলের ক্রিমের সঙ্গে ডিম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন, এটি সপ্তাহে ২বার ব্যবহার করতে পাড়েন। এটা আপনার চুলকে করবে মসৃন এবং শক্তিশালী।

৩। ডিম এবং শ্যম্পু:
যদিও আমি ডিম পছন্দ করি কিন্তু এর গন্ধ আমার একদমই ভাললাগেনা এবং সম্ভবত আপনারও ভাললাগেনা,
হ্যাঁ, আমি বুঝতে পারি, আপনি আপনার চুলকে সুন্দর রাখতে চান কিন্তু ডিমের গন্ধ আপনাকে তা করতে দিচ্ছেনা।
কিন্তু এখন সব কিছুরই সমাধান আছে, শ্যম্পুর সাথে মিশিয়ে নিন ডিমের তরল অংশ দেখবেন ধিরে ধিরে আপনার চুল হয়ে উঠছে সুন্দর ও প্রনবন্ত।

৪। ডিম এবং মেহেদী:
মেহেদীর গুনাগুণ সম্পর্কে আমারা সবাই কম বেশি জানি, মেহেদি ব্যবহারে চুলের গোরা হয় শক্ত ও মজবুত আর ডিমের গুনাগুণ তো আমরা জানিই, তাই ডিমের সাথে মেহেদী মিশিয়ে ব্যবহার করুন চুলে। চুল হবে শক্ত মজবুত ও উজ্জ্বল।

৫। ডিম + অলিভ অয়েল + মধু:
১টি ডিম, এক টেবিল চামচ মধু ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন, তিনটি জিনিসকে একত্রে মিশান, ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন, শ্যম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

তাহলে আর অপেক্ষা করছেন কেন, এখন আপনার কাছে আছে খুব সহজে চুলের সৌন্দর্য চর্চার গোপনীয় সব রহস্য। চটজলদি দোকান থেকে নিয়ে আসুন কিছু ডিম, আপনি কল্পনাই করতে পারছেন না আপনার চুল কতো চমৎকার হতে যাচ্ছে।

Skin beauty tips " ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সবজি বীটের দারুণ কিছু ব্যবহার - Vegetable beat for skin beauty

বীট সবজিটির সাথে কম বেশি আমরা সবাই পরিচিত। ত্বকের সৌন্দর্য চর্চায় বীটের ব্যবহার অনেকেরই অজানা। মুখের ত্বকের বলিরেখা বা ভাঁজ দূর করতে অনেক বেশি কার্যকর। কারন এই সবজিটিতে রয়েছে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান যা ত্বককে করে তোলে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করতে সাহায্য করে।


ভিটামিন সিতে ভরপুর বীটে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফোলেট এবং খাদ্যআঁশ। এগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিকার করে এবং এটি রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়ে ত্বককে করে সতেজ। বীটের রস মুখের ব্রণ, দাগ এবং ডার্ক সার্কেল দূর করতে ব্যবহার হয়ে থাকে। এছাড়া ত্বকের রঙ উজ্জ্বলও করতে পারে এই বীট।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ত্বকের ক্ষেত্রে বীট ব্যবহার-

উজ্জলতা বাড়াতে
বীটের জুসে আয়রন ছাড়াও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যা খেলে ত্বকের উজ্জলতা বাড়ে। এছাড়া এটা মুখেও লাগাতে পারেন। মুখ ধুয়ে বীটের রস লাগিয়ে কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন পরই দেখুন চমক।

ব্রণ সারাতে
২ চা চামচ বীটের রস নিয়ে তাতে ১ চা চামচ টকদই দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া নিয়মিত বীটের জুস খেতে হবে।

ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে –
ত্বকের উজ্জলতা যদি বাড়াতে চান তাহলে বীটের রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারের পর পার্থক্যটা চোখে পড়বেই।

ডার্ক সার্কেল –
যদি কারো ডার্ক সার্কেল বা চোখের চারপাশ ফোলা থাকে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে বীটের রস আক্রান্ত স্থানে লাগান।

চুলপড়া রোধে –
চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। চুল পড়ার সমস্যা কমাতে বীট খুবই উপকারি। বীটের রসের সাথে কিছুটা আদার রস মিশিয়ে গোসলের আগে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষন তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে যাবে।

ত্বকের দাগ কমাতে
ত্বকের দাগ কমাতে টমেটোর রসের সাথে বীটের রস মিশিয়ে মুখে লাগালে উপকার পাবেন।

শুষ্ক ত্বক –
অনেকেই শুষ্ক ত্বক নিয়ে খুব সমস্যায় ভোগেন। তাদের ক্ষেত্রে বীট বেশ উপকারি ভূমিকা রাখতে পারে। বীটের রসের সাথে কিছুটা দুধ এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন এবং ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে –
ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধে বীটের রস বেশ উপকারি। সপ্তাহে একদিন মুখে বীটের রস মাখুন।

ঠোঁট –
প্রতিদিন রাতে বীটের রস ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমাতে যান। কিছুদিন পর আবিস্কার করুন ঠোঁটের বর্ধিত সৌন্দর্য।

Skin beauty tips : ঘুম থেকে উঠে মেনে চলুন ৭টি নিয়ম, পান স্বাস্থ্য, উজ্জ্বল ত্বক- Get bright skin after wake up from sleep

সুন্দর স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রয়োজন প্রতিদিন সঠিক খাওয়া দাওয়া, আর সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরের যত্ন নেওয়া। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিনের শুরুটা ঠিকঠাক ভাবে করা। প্রতিদিন সকালে যদি মেনে চলা যায় কিছু নিয়ম, তবে সুন্দর হতে পারে স্বাস্থ্য। যার ছাপ পড়বে আপনার ব্যক্তিত্বেও। রইল এরকমই ৭টি অভ্যেসের সন্ধান-


১) ঘুম থেকে উঠে ব্যবহার করুন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সিরাম-ভিটামিন সি বা ভিটামিন ই ত্বকের ডিহাইড্রেশন রুখতে সাহায্য করে। ফলে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। ঘুম থেকে উঠে ভিটামিন ই ময়শ্চার সিরাম অথবা অরিগা ফ্লাভো-সি সিরাম সারা শরীরে লাগানো হলে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা।

২) সকালে প্রোটিন খান-চেষ্টা করুন জলখাবারে প্রোটিনের পরিমান বাড়াতে। ডিম, বাদাম, দই জাতীয় জিনিস শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায়। কোলাজেন ত্বকের বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে। চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা করে কোলাজেন। জলখাবারে প্রোটিনের পরিমান বেশি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা যেমন কমে, তেমনই বাড়ে চুলের ঔজ্জ্বল্যও। সেইসঙ্গেই অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকার ফলে সারাদিন বেশি খাওয়ার প্রবণতাও কমে।

৩) এসপিএফ-মেঘলা দিনেও অপরিহার্য্য সানস্ক্রিন। সব ধরণের ত্বকের জন্যই প্রয়োজনীয় সানস্ক্রিন। ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে যেমন রক্ষা করে সানস্ক্রিন, তেমনই সারাদিন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।

৪) হাইড্রেট করুন নিজেকে-সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ইষদোষ্ণ জলে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চামচ মধু দিয়ে খান।

৫) শরীর চর্চা-প্রতিদিন সকালে অন্তত ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা বাডাবে আপনার উদ্যোগ, সুস্থ রাখবে শরীর, বাড়াবে পজিটিভ মানসিকতা।

৬) মুখে জল দিন-সকালে উঠে মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিলে শরীর, মনে আসবে তরতাজা ভাব। ভিতর থেকে সুস্থ বোধ করবেন। ব্যাগে রাখুন ওয়াটার স্প্রে। সারাদিনে ৪ ঘণ্টা পরপর স্প্রে করুন মুখে।

৭) গ্রিন টি-কফির বদলে সকালে উঠে পান করুন গ্রিন টি। গ্রিন টি-র মধ্যে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ভাব রুখতে সাহায্য করে।

Skin beauty tips : মুখের দাগ দূর করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী নিরাময় ফেয়ারনেস ক্রিম - Fairness cream for skin beauty



আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের রূপগত কিছু সমস্যা রয়েছে। যার কারণে তাদের দেখতে অসুন্দর লাগে। নিজের কাছে নিজে হীনমন্যতায় ভোগে।

সমস্যগুলো হলো:

    ১. ব্রণের সমস্যা
     ২. ব্লাকহেডস সমস্যা
    ৩. মেছতা সমস্যা
    ৪. মুখে দাগের সমস্যা
     ৫. চেহারা দেখতে কালো
    ৬. লাবণ্য কম
  আমাদের  দেশের ছেলে মেয়েদের উপরোক্ত সমস্যা গুলোর কথা চিন্তা করে আমরা নিরাময় হারবাল আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম এমন এক ফেয়ারনেস ক্রিম। যেটা ব্যবহারে আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, ব্রণ, ব্লাকহেডস সমস্যা একবারে নির্মুল হয়ে যাব্ মুখের কালো দাগ সরিয়ে চেহারায় লাবণ্য তৈরী করবে।

সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদানে তৈরী বলে সব চেহারায় ক্রিমটি ১০০ ভাগ মানানসই এবং কারযকরী। এতে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

Body beauty tips : অতিরিক্ত মেদ ভুঁড়ি কমিয়ে নিজেকে স্মার্ট করতে অত্যন্ত কার্যকরী নিরাময় (-স্লিম) - Fat reduce tips




ওজন কমান স্লিম হউন ! অতিরিক্ত মেদ ভুঁড়ি অতি ভয়ংকর ! যা আপনাকে যে কোন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, রোগে আক্রান্ত করতে পারে। এছাড়াও এই অতিরিক্ত মেদ আপনার স্মার্টনেস,লুকিং নষ্ট করবে।

আপনার এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের আছে ভেষজ ওষুধ (- স্লিম),,যাহা সেবনে আপনার মেদ ভুঁড়ি সহ অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে আপনাকে করে তুলবে ঝুকি মুক্ত ও স্মার্ট.।

আমাদের ঔষধটি আপনার অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করবে,,নতুন ফ্যাট তৈরীতে বাধা দান করবে,,প্রসাব
পায়খানার সাথে অতিরিক্ত মেদ বের করে দেবে... তাই আপনার মেদবহুল জীবনকে স্মার্টনেস//ঝুঁকিমুক্ত// মেদহীন করতে আমাদের ঔষধটি হতে পারে আপনার কার্যকর সাথী.।

Hair beauty tips : চুল পড়া বন্ধ এবং নতুন চুল গজাতে দারুন কার্যকরী নিরাময় হেয়ার অয়েল - Hair oil for reduce hair fall



চুল পড়া আমাদের সমাজের তরুন তরুনী এমনকি বয়স্কদের কাছেও একটি বড় ধরনের সমস্যা.....সাধারনত
আমাদের খাদ্যভ্যাস এর ত্রুটি,,চুলের সঠিক যত্ন না নেওয়া,,চুলে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার,,ঘুম কম হওয়া,,অতিরিক্ত টেনশন [এছায়াও আরও কারন রয়েছে] ইত্যাদি কারনে আমাদের সমাজের তরুন তরুনী চুল পড়া সমস্যায় ভুগছে.....

চুল পড়া সমস্যা দূর করতে এবং নতুন চুল গজাতে আমরা নিরাময় হারবাল সেন্টার আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি ভেষজ উপাদানের সংমিশ্রনে ইউনানি ফর্মুলায় তৈরী এমন এক কার্যকরী  অয়েল.... যাহা ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হবে,,নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে,,মাথা ঠান্ডা রাখবে,,ঘুম আরামদায় করবে.....

Body beauty tips : স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান এবং শক্তিশালী হতে অত্যন্ত কার্যকরী নিরাময় মাল্টিভিটামিন - Multivitamin for healthy body



আমরা অনেকেই ভাল ভাল খাবার খাওয়ার পর ও মোটা হতে পারি না।যারা যারা এই সমস্যায় ভুগতেছে তাদের জন্য আমাদের এই পোষ্ট।


শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের আছে ন্যাচারাল উপাদান দ্বারা ইউনানি ফর্মুলায় তৈরী ভেষজ ওষুধ, যা সেবন করে শরীরের ৫-৮ কেজি ওজন বাড়ানো সম্বভ।

ক্রিয়াঃ বলকারক, পুষ্টিকারক, স্মৃতিশক্তি বর্ধক,রুচিবর্ধক ,হজমকারক,ভিটামিন আয়রন ক্যালসিয়াম ফ্যাট এর ঘাটতি দূরীকরন,ওজন বর্ধক।


কার্যকারিতাঃ
» সাধারণ দুর্বলতা, মানুসিক ক্লান্তি, অবসাদ,অপুস্টি, স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা ।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:
» নির্দিষ্ট মাত্রায় সেবনে কোনরূপ বিরূপ ক্রিয়া নেই।

স্থায়ীত্ব :-এই ঔষধের ক্রিয়া স্থায়ী হিসেবে বিবেচিত।

Health beauty tips : শারীরিক উচ্চতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী নিরাময় হাইট প্লাস - Physical height tips

শারীরিক উচ্চতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী নিরাময় হাইট প্লাস...........




আপনি কি খাটো, বেটে? বেটোত্বের অভিশাপ আর নয়.!.

মানুষ কেন খাটো, বেটে হয়??



"বংশগত কারনে"-"শরীরের গ্রোথ হরমোন কম, সক্রিয় কম হওয়ার কারনে"-"হাঁড়ের BRIDDI কম হওয়ার কারনে"।

"ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক এর অভাব জনিত কারনে"।

"অল্পবয়সে অতিরিক্ত হস্তমৈথুনেরকারনে" ইত্যাদি কারনে এই সমস্যা হতে পারে।
.
যারা এই খাটো,বেটোত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে চান, লম্বা হতে চান,।আমরা তাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে ইউনানী ফর্মুলায় নিজস্ব কোম্পানী দ্বারা তৈরী এমন এক ঔষধ।যাহা সেবনে আপনার "গ্রোথ
হরমোনের পরিমান সক্রিয়তা বেড়ে যাবে"।"শরীরের হাড়ের BRIDDI ঘটাবে"।"শরীরের আয়রন ক্যালসিয়াম জিংক এর পরিমান বাড়াবে"।"কোষের সক্রিয়তা বাড়িয়ে"আপনাকে ২>-<৪ ইন্চি পর্যন্ত লম্বা হতে সাহায্য করবে।

সম্পূর্ন ভেষজ ঔষধ বিধায় এর কোন প্রকার প্বার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

Brest beauty tips : মাত্র ৪০ দিনে স্তনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষনীয়।।।। - Brest beauty tips only 40 days!!!!

মাত্র ৪০ দিনে স্তনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে নিজেকে করে তুলুন আকর্ষনীয়।।।।




আমাদের দেশের মেয়েদের স্তনের বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে...যার কারণে তারা নিজের কাছে নিজে হীনমন্যতায় ভোগে।
মূলত আমাদের দেশের মেয়েরা সেক্সুয়াল বিষয়ে একটু অজ্ঞ এবং ফ্যামিলির কাছ থেকে তারা সেক্সুয়াল বিষয়ের উপর কোন শিক্ষা বা সহোযোগিতা না পাওয়ার কারণে বয়োসন্ধিকালের সময় কিছু ভূল ত্রুটির ফলে আমাদের দেশের মেয়েদের স্তন এর আকার আকৃতি নিয়ে একটু সমস্যা দেখা যায়...এছাড়া অল্প বয়সে যৌন মিলন , অতিরিক্ত হরমোন নি:সরণ , শরীর মুটিয়ে যাওয়া , অতিরিক্ত চিকন হওয়া , উল্টা হয়ে ঘুমানো , সঠিক মাপের ব্রা না পরা , সন্তান প্রসব করা , অত্যধিক সহবাস করা ইত্যাদির কারনে মেয়েদের স্তন এর আকার আকৃতি একটু সমস্যা তৈরী হতে পারে,,,যার ফলে মেয়েদের বুকের সৌন্দর্য ধরে রাখা সত্যিই কষ্টকর হয়ে পড়ে... . ফিগার আকর্ষনীয় করতে এবং স্তনের এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমরা নিরাময় ল্যাবরেটরী নিয়ে এসেছি ভেষজ উপাদানের সংমিশ্রনে ইউনানী ফর্মূলায় তৈরী সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এমন দুটি ক্রীম,যা মেয়েদের বুকের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং ফিগার আকর্ষনীয় করতে ১০০% কার্যকরী... .

Skin beauty tips : মেয়েদের দেহের অবাঞ্ছিত কালো দাগ , যৌনাঙ্গ ও বগলের কালো দাগ , গলাতে কালো দাগ দূর করুন ও জীবাণু এবং দুর্গন্ধ মুক্ত করুণ ! মাত্র ৩০-৪০ দিনে! - Tips for reduce black skin and other problems


Posted by Aponer Doctor Posted on 8:12 AM with No comments


আমরা কিছু সমস্যার কথা ডাক্তারকে বলতেও ইতস্তত বোধ করি । নিজের লজ্জার কথা কাওকে বলতে পারি না।
যার কারনে বিভিন্ন সময়ে অন্যের কাছে আমাদের কে লজ্জায় পরতে হয় ।

বিশেষ করে মেয়েদের বিয়ের পর নিজের স্বামীর কাছে লজ্জায় পরতে হয় ।তার কারন হল মেয়েদের দেহের অবাঞ্ছিত কালো দাগ , যৌনাঙ্গ ও বগলের কালো দাগ । মুলত মানুষের জন্মের পর শরীরের প্রায় সমস্ত চামড়ার রঙ একই রকম থাকে তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হয় বিশেষ করে যে অংশগুলোতে প্রয়োজনুপাতে  আলো, বাতাস, পানি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান খুব  কম পায় সেখানেই এ পরিবর্তন বেশি দেখা যায়। কারো  ক্ষেত্রে এই কালো আবরণ এত বেশী পরিমানে বেড়ে যায় যা  অত্যন্ত অস্বস্থিতে পরিণত হয় ।মুলত বিশেষ করে যৌনাঙ্গ ও  বগলের কালো দাগ দেখা দেয় .... কিন্তু লজ্জা ও স্পর্শকাতর  বিষয়টি নিয়ে কেউ তেমন আলোচনা বা পরামর্শ করেন না। ডাক্তারদেরও এ বিষয়টি খুলে বলতে অস্বস্থিবোধ করেন।  ফলে ওই স্থানটি সেভাবেই থেকে যায়। সচরাচর  স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে ঘামের মাধ্যমে শরীরের যে বর্জ্য  বের হয় তা সাথে সাথে পরিস্কার করা হয়না। এছাড়া কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার রিমুভার, লোশন, ক্রিম, তেল  ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে এই কালোদাগের মাত্রা আরো  তীব্রতর হয়ে ওঠে । সেইসাথে দুর্গন্ধের বিষয়টি তো আছেই  এ কারণে অনেক মেয়ে কে বিয়ের পর স্বামী এর কাছে
লজ্জায় পড়তে হয় ।



এ সমস্যা দূর করতে বাংলাদেশে এই প্রথম Niramoy Laboratories নিয়ে এল Niramoy Spot remover ক্রিম ।
যাহা ব্যাবহারে মেয়েদের দেহের অবাঞ্ছিত কালো দাগ , যৌনাঙ্গ ও বগলের কালো দাগ , গলাতে কালো দাগ দূর হয়,জীবাণুমুক্ত এবং দুর্গন্ধমুক্ত হয়।

Health beauty tips : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৫টি কার্যকরী খাবার - 5 effective food for diabetic control

ডায়াবেটিস নিয়ে সবারই একটা ভুল ধারণা আছে যে, এটি একটি বংশগত রোগ। যদি বংশ বা পরিবারের কারো ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নতুন প্রজন্মেরও ডায়াবেটিস হয় ভেবে থাকে অনেকেই। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ যুক্তিহীন কথা। এটি কোনো বংশগত রোগ নয়। যে কারই এটি হতে পারে। কিন্তু এতে আপনার চিন্তার কিছুই নেই। ডায়াবেটিস কে প্রতিরোধ করা যায় না, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আপনার জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসই দায়ি এর জন্য। ঘাবড়ে যাবেন না গিয়ে আপনি যদি আপনার বদভ্যাসগুলো পরিবর্তন করে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেন তাহলেই আপনি এটিকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আজ আমি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনকারী ৫টি খাবার সম্পর্কে আপনাদের অবগত করাবো।

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে

আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কেঃ

শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান অতিরিক্ত হারে বাড়লে সেটাকেই ডায়াবেটিস বলে। অতিরিক্ত হারে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও এটি হতে পারে। তাই আপনাকে ডায়াবেটিসের প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলো মানার সাথে সাথে খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ত আরোপ করতে হবে।

১। আদাঃ

আদা ছাড়া বাঙালি রন্ধন শিল্প অনেকটাই অসম্পূর্ণ। মসলার জগতে আদা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বলে এমন কেউ নেই যে আদাকে চিনে না। আদায় প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট রয়েছে। অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভুমিকা রাখে। তাই কাঁচা আদা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন কাঁচা ২-৩ টুকরো আদা খেয়ে নিতে পারেন।

২। অ্যালো ভেরা (Aloe Vera):

অ্যালো ভেরার গুনাগুন সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানে। ইহা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে খুব কার্যকরী। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে অ্যালো ভেরার শরবত পানে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরের রক্ত থেকে লিপিড বা ফ্যাট মলিকিউলস কমে যায়। এছাড়া রক্ত থেকে গ্লুকোজের পরিমান অতি দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।

৩। করল্লাঃ

করল্লা তিতা হলেও খুব বেশি স্বাস্থ্য গুনাগুন সম্পন্ন একটি সবজি। করল্লা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি প্রতিদিন করল্লার ১ গ্লাস শরবত তাদের জন্য খুবই উপকারি। তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনের খাবারে করল্লা রাখা উচিত।

৪। মেথি দানাঃ

মেথি আপনি খাবার হিসেবে ব্যাবহার না করতে পারলেও মসলা হিসেবে এটির বহুল ব্যাবহার প্রচলিত। মেথি কার্বো- হাইড্রেট হজম প্রক্রিয়ার সময়কে হ্রাস করে। যার ফলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বারতে পারে না। সুতরাং মেথি দানা কে মসলা হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিন। সরাসরি মেথি দানা না ব্যাবহার করতে পারলে মেথি কে গুঁড়ো করে ব্যাবহার করতে পারেন।

৫। আমলকীঃ

আমলকী টক ফল হিসেবে সবার কাছে জনপ্রিয়। আমলকীকে সরাসরি আপনি অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ফল বলতে পারেন। আমলকী রক্তের ইনসুলিন লেভেলকে কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী। সুতরাং আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুব সহজেই আপনাকে সহায়তা করবে। তাছাড়া আমলকী তে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। যা স্বাস্থ্যর জন্যও বেশ উপকারি।

Health beauty tips : ৭টি খাবার শরীর থেকে নিকোটিন বের করে - 7 food item reduce nicotine

আমরা সবাই জানি, ধূমপান স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান শরীরে ধীর বিষক্রিয়া ঘটায় জানা সত্ত্বেও ধূমপায়ীরা ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে পারে না। ধূমপায়ীদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান হল নিকোটিন। নিকোটিন খুব সহজেই শরীরের রক্তনালীতে মিশে গিয়ে বিক্রিয়া করে এবং শরীরের রক্তচাপ মুহূর্তের মধ্যেই বৃদ্ধি করে দেয়। নিকোটিন ফুসফুসকে অকৃতকার্য করে দেয়, ত্বককে নষ্ট করে দেয় এবং আপনাকে ৫-২০ বছর পর্যন্ত বেশি বয়স্ক বানিয়ে দিতেও এটি সক্ষম। তাছাড়া দেখা যায় যে, ৯০% ফুসফুসের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীই ধূমপায়ী ছিল। ধূমপায়ীরা ধূমপান ছেড়ে দিলেও নিকোটিনের প্রভাব শরীরে কয়েক বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। কিন্তু সুষম ও পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আপনাকে সাহায্য করতে পারে শরীর থেকে নিকোটিন বের করতে।

যে ৭টি খাবার যা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বের করবে

যে ৭টি খাবার যা আপনার শরীর থেকে নিকোটিন বের করবেঃ

১। কমলাঃ

কমলা খুবই সুস্বাদু ও মুখরোচক ফল। এতে রয়েছে প্রছুর পরিমানে ভিটামিন সি। আপনি ঔষধের জগতে অনেক ঔষধ পাবেন যা কমলা দিয়ে বানানো হয়, যা আপনার রুচি ও ক্ষুধা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। কিন্তু নিকোটিন দূরীভূত করতে আপনি কমলা সরাসরি খাবেন। নিকোটিন দেহে ক্ষুদামন্দা ও দুর্বলতা সৃষ্টি করে। তাই আপনার খাদ্য চার্টে সরাসরি কমলা যোগ করে নিবেন। কমলা দেহ থেকে নিকোটিন দূর করতে সাহায্য করবে।

২। ব্রকলি / রঙিন ফুলকপিঃ

ব্রকলি বলতে বিভিন্ন রঙের ফুলকপিকে বুঝায়। বাজারে দেখবেন বেগুনি, খয়েরি ও অনেক ধরনের রঙের ফুলকপি পাওয়া যায়। ঐগুলোকে ব্রকলি বলা হয়। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি ও বি৫ রয়েছে। ধূমপান শরীর থেকে ভিটামিন সি কে ধ্বংস করে দেয়। সতরাং, ভিটামিন সি কে পুনরায় শরীরে স্থাপন করতে আপনাকে বেশি বেশি ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে। তাই ব্রকলিকে আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন। ব্রকলি শরীর থেকে নিকোটিনকে বের করতেও সক্ষম।

৩। গাজরঃ

ভিটামিন এ, বি, সি ও কে এর বৃহত্তম উৎস হল গাজর। একটা জিনিস আপনার মাথায় রাখা খুব প্রয়োজনীয় যে একটা সিগারেটের নিকোটিন আপনার শরীরে ৩ বছর পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। তাই আপনার উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকতিঙ্কে দেহ থেকে বের করা। প্রতিদিন ধূমপানের পর একটি করে গাজর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাছাড়া আপনি যদি ধূমপান ছেড়ে দিয়ে থাকুন তাহলে প্রতিদিন সকাল ও রাতে ১ গ্লাস করে গাজরের জুস পান করুন। এতে করে আপনার শরীরের জমাকৃত নিকোটিন দূরীভূত হবে। তাছাড়া গাজর ত্বকের নানা সমস্যাও দূরীভূত করে।

৪। কিউই ফলঃ

কিউই ফল অর্থাৎ Kiwi Fruit একটি জাদুকরি ফল যাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই। এই উপাদান গুলো শরীর থেকে নিকোটিন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ধূমপান শরীরের ভিটামিন সি ধ্বংস করে দেয়। তাই শরীরে ধ্বংস ভিটামিন সি এর ঘাটতি মিটাতে কিউই ফল খাওয়া প্রয়োজন। শরীরের নিকোটিনকে বের করতেও কিউই ফলের জুড়ি নেই।

৫। আমলকীঃ

আমলা টক ও সুস্বাদু ফল যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ধূমপান শরীরের ভিটামিন সি কে নষ্ট করে দেয়। যেহেতু আমলকীতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আছে, তাই আমলকীকে আপনার খাদ্য তালিকায় নিঃসন্দেহে যুক্ত করে নিন। আমলকী খাবার হজমেও সহায়তা করে এবং নিকোটিনের প্রভাবকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। আমলকীতে ফাইবার, কার্বো- হাইড্রেট, আইরন, প্রোটিন এবং অ্যাস্করবিক এসিড আছে যা আপনাকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতেও সাহায্য করে।

৬। পালং শাকঃ

শাক সব্জির জগতে পালং শাক অন্যতম। সব ধরনের শাক-সব্জি শরীরের জন্য বহু দিক দিয়ে উপকারি। কিন্তু নিকোটিনকে নিস্ক্রিয় করনে পালং শাকের ভুমিকা অন্তহীন। তাছাড়া এটি নিকোটিনের সাথে সাথে অন্যান্য ময়লাকে শরীর থেকে দূর করতে সাহায্য করে।

৭। পানিঃ

ধূমপান আমাদের শরীরকে শুষ্ক ও পানিশুন্য করে দেয়। তাই ধূমপায়ীদের পানি পান অত্যাবশ্যকীয়। অনেক গবেষণাকারী বলেছেন, বেশি বেশি পানি পান করার অভ্যাস ধুমাপান ছাড়তে সাহায্য করে। পানি শরীর থেকে নিকোটিন দূর করতে সাহায্য করে।

ধুমাপান স্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুইটাকেই ধ্বংস করে। তাছাড়া ধূমপান অর্থেরও অপচয়। তাই ধূমপান ছেড়ে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। ধূমপান থেকে নিজেও বিরত থাকুন, অন্যকেও রাখুন।

Health beauty tips : জেনে নিন পেটে মেদ জমার ৬টি কারণ - 6 reason for fat

আপনার দৈনন্দিন জীবনে আপনার কিছু না জানা অভ্যাস আপনার শরীরে এবং পেটে মেদ জমাচ্ছে। কিছু সতর্কতাই পারে মেদ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে।

জেনে নিন পেটে মেদ জমার ৬টি কারণ

পেটে মেদ জমার ৬টি কারণ:

আসুন জেনে নেই পেটে মেদ জমার কারণগুলো-

পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমের অভাবঃ

প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। কম ঘুমের কারনে পেটে জমতে পারে অবাঞ্ছিত মেদ। জরিপে দেখা যায় যে কম ঘুমানো মানুষগুলোর পেটে বেশি মেদ জমে। খুব বেশি ঘুমানো ও ভালো না স্বাস্থ্যর জন্য। তাই প্রতিদিন ঘুমানোর একটি সঠিক সময় নির্ধারণ করে সেই সময়েই ঘুমাবেন।

সফট ড্রিংকসঃ

সফট ড্রিংকস, সোডা এবং অ্যালকোহলে প্রচুর পরিমান সুগার এবং কার্বো-হাইড্রেট আছে যা পেটে মেদ জমিয়ে দিতে পারে খুব কম সময়ে। যারা প্রতিনিয়ত সফট ড্রিংকস খাচ্ছেন তারা ভুল করেও মেদ বিহীন পেট আশা করতে পারবেন না। আজই ছেড়ে দিন এইসব খাওয়া এবং খুব সহজেই লক্ষ্য করুন পেটের মেদ কমতে শুরু করেছে।

সঠিক সময়ে রাতের খাবার না খাওয়াঃ

আজকাল লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের সাথে সাথে সবার খাওয়ার সময়ও পরিবর্তন হয়ে গেছে। যত রাত করে আপনি খাবার খাবেন আপনার পেটে মেদ তত বেশিই জমবে। অন্তত ঘুমানোর ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে ফেলুন অথবা রাত ৯ টার মধ্যে। মধ্য রাতে হালকা কিছু খেয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে করে পেটে মেদ জমার ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে।

কম পানি খাওয়াঃ

বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যর জন্য খুব ই প্রয়োজন। তাছাড়া আপনি যদি প্রতি ১ ঘণ্টায় ১ গ্লাস করে পানি পান করুন তাহলে আপনার পেট অনেকাংশে ভরা থাকবে যার কারনে খাওয়ার সময় আপনি কম খেতে পারবেন। আর সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং প্রতিবার খাওয়ার আগে অবশ্যই ১ গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন। এতে করে আপনি কম খেতে পারবেন এবং এটি আপনার খাবার হজমে ও সহায়তা করবে। পানি পানের অভ্যাসে পেটে মেদ জমা অনেকাংশে জমে যায়।

মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তিঃ

অনেকেই আছেন যারা প্রতিদিন মিষ্টি খাবার একবার হলেও খান। মিষ্টি খাবার খাওয়া বাক্তিরা অন্যদের তুলনায় অধিক মোটা ও তাদের পেটে অনেক পুরু মেদও দেখা যায়। অতিরিক্ত হারে মিষ্টি খাবার পেটে খুব বেশিই মেদ তৈরি করে। মিষ্টি খাবার থেকে দূরে থাকুন। সপ্তাহে ১-২ বার ভারী মিষ্টি খাবার খেতে পারেন।

অনেক বেশি লো ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়াঃ

মেদ জমায় না লো ফ্যাট জাতীয় খাবার তাই বার বার খাচ্ছেন লো ফ্যাট জাতীয় খাবার। কিন্তু অধিক পরিমান লো ফ্যাট খেলে এটি আপনার পেটে মেদ জমাবে কারণ এতে ফ্যাট কম থাকলেও অধিক পরিমান সুক্রোজ থাকে। সুক্রোজে পেটে অনেক বেশি মেদ জমাতে সক্ষম তাই লো ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
এইসব সাবধানতার সাথে সাথে অবশ্যই গড়ে তুলুন ব্যায়াম ও হাঁটার অভ্যাস।

Nail beauty tips : সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর নখের জন্য ছয়টি খাবার - Food for beauty and healthy nail

সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর নখের জন্য শুধু মেনিকিউর ও পেডিকিউরই যথেষ্ট নয়। এর জন্য খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। অনেকেই নখের অনেক সমস্যায় ভুগে থাকে। যেমনটি ভঙ্গুর, দুর্বল, কালচে ও লালচে দাগ, ফাটা ও পাতলা নখের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এইসব সমস্যার জন্য আপানকে অনেক বেশি সচেতন হলেই চলবে না। আপনার প্রয়োজন আপনার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন নিয়ে আসা। আসুন জেনে নেই ছয়টি খাবার যা আপনার নখকে করে তুলবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর নখের জন্য ছয়টি খাবার

ছয়টি খাবার যা আপনার নখকে করে তুলবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকরঃ

১। কলিজাঃ

হাঁস, মুরগি, গরু ও খাসির কলিজায় আছে প্রচুর পরিমানে লৌহ। লৌহের (আয়রন) অভাবেই নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে থাকে। তাই সপ্তাহে ২ দিন অবশ্যই লৌহ জাতীয় খাবার খাবেন। আর যারা শুধুই নিরামিষ খান তারা ডাল, সিম ও পালং শাক সহ নানা ধরনের লৌহ জাতীয় খাবার খেতে পারেন সুন্দর নখের জন্য।

২। ডিমঃ

ডিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও শক্তি আছে যা শরীরে অনেক পুষ্টি যোগায়। তাছাড়া ডিমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, ই ও ক্যালসিয়াম আছে। ডিমের কুসুমে রয়েছে বায়োটিন। যা নখকে সাস্থকর ও সুন্দর করে তুলে। ভিটামিন বি নখের ভঙ্গুরতা ও দুর্বলতা কমায়। তাছাড়া ক্যালসিয়াম নখকে শক্ত ও মজবুত করে।

৩। ফিশ অয়েল/সামুদ্রিক মাছঃ

সামুদ্রিক মাছে ও ফিশ অয়েল এ প্রচুর পরিমান অমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। এছাড়া প্রোটিন ও সালফার ও অধিক পরিমানে পাওয়া যায়। নখের গোঁড়া শক্ত ও মজবুত করতে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। তাছাড়া আপনি ফিশ অয়েল ও খেতে পারেন এতে করে নখের ভঙ্গুরতা দূর হবে। নখ হয়ে উঠবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

৪। দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারঃ

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবারে আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও বায়োটিন। নখ সম্পূর্ণ তৈরি হয় প্রোটিন দিয়ে। তাই দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমন পনির ও দই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। নখের গঠনে প্রোটিন ও বায়োটিন খুব বেশি প্রয়োজন। প্রোটিন কমপক্ষে ১ গ্লাস দুধ পান করুন। এতে করে নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। নখ হয়ে উঠবে আরও সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

৫। মাংসঃ

গরু, মুরগি, হাঁস ও খাসির মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও বায়োটিন। এইসব মাংস নখকে মজবুত ও শক্ত করে তুলে। নখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে নখকে করে তুলে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।

৬। শাকসবজি ও ফলঃ

ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফল সুন্দর নখের জন্য খুব বেশি প্রয়োজন। যাদের নখে লাল বা কালো দাগ আছে তারা বিশেষ করে সবসময় শাকসবজি ও ফল খাবেন। এতে করে নখ অনেক শক্ত, মজবুত, সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে।

নখের সৌন্দর্য ছাড়া আপনি কখনই আপনার পুরোপুরি সৌন্দর্য আশা করতে পারেননা। তাই নখের যত্নে উপরিল্লিখিত খাবার গুলো খেতে পারেন।

Skin beauty tips : রোদে পোড়া হাত ও পা এর দাগ দূর করুন সহজেই - Easy remove black spot from hand and leg

গরম মানেই রোদ আর তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। গরম আর রোদ থেকে ত্বক কে বাঁচানোর কতকিছুই না করি আমরা। কিন্তু শুধু ত্বক কে বাঁচালে কি হবে? আসল সৌন্দর্য তো শুধু মুখের ত্বকে নয়, হাত ও পা এর সৌন্দর্যই পারে আপনাকে সম্পূর্ণ রুপময় করে তুলতে। অনেক মানুষের একটাই কমন প্রশ্ন থাকে যে এই গরমে হাত ও পা কে কিভাবে সুরক্ষা করবো রোদ থেকে? আমার কথা একটাই থাকবে শুধু মুখের ত্বকের নয় হাত ও পা এর ত্বক এর ও যত্ন নিতে হবে। রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন ক্রিম, লোশান্‌ ও পাউডার ব্যাবহার করে ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করলেও হাত ও পা এর প্রতি আমরা খেয়াল করি না। যার কারনে হাত ও পা রোদে পুড়ে কালো হয়ে যায়।

গরম এলে স্বস্তির জন্য সবাই খোলামেলা হাতাকাটা ড্রেস ও লেস বা ফিতার জুতা বা খোলামেলা জুতা পরতেই পছন্দ করি। এতে করে হাত ও পা অনেক বেশি রোদে পুড়ে যায়। কালো কালো দাগ ও পরে অনেক সময়। আজ আপনাদের রোদে পোড়া হাত ও পা এর দাগ দূর করা নিয়ে কিছু কার্যকরী টিপস দিবো যা শুধু রোদ থেকেই হাত ও পা কে সুরক্ষা করবে না বরং হাত ও পা কে অনেক বেশি সুন্দর ও লাবণ্যময়ী করে তুলবে।

রোদে পোড়া হাত ও পা এর দাগ দূর করুন সহজেই

জেনে নিন কিভাবে রোদে পোড়া হাত ও পা এর দাগ দূর করবেনঃ

১) বুট, মসূর ও মাশকলাই ডালের প্যাকঃ

৪ চামচ বুটের ডালের বেসন, ৪ চামচ মসূর ডাল ও ৪ চামচ মাশকলাই ডালের পেস্ট এর সাথে গোলাপ জল ও চন্দন এর গুঁড়া মিশিয়ে ভালোভাবে প্যাক টি বানিয়ে নিন। আপনার হাত ও পায়ে সপ্তাহে ২ দিন এই প্যাক টি লাগাবেন। যদি আপনার হাত ও পায়ে অনেক বেশি কালো দাগ ও রোদে পোড়া হয় তাহলে প্রতিদিন লাগান যতদিন না দাগ না যায়। ২ সপ্তাহ লাগাতার লাগালেই হাত ও পায়ের পোড়া দাগ সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে।

২) শসাঃ

রৌদ্রময় দিনে বাহির থেকে ফিরে ভালভাবে হাত ও পা ধুয়ে নিন। একটি শসা নিন। শসার মুখের উপরে যে কষ থাকে তা নিয়ে হাতে ও পায়ে ঘষুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া শসার রস ও লাগাতে পারেন, বা শসাকে ব্লেনড করে আইস ট্রে তে রেখে দিন। প্রতিবার বাহির থেকে এসে শসার আইস কিউব লাগান হাত ও পায়ে। এতে করে রোদে পোড়া কালচে ভাব আর থাকবে না হাত ও পায়ে।

৩) ভিনেগার ও লেবুঃ

গসলের সময় বা তার পরে যে কোনো পাত্রে পানির সাথে ৩ চামচ ভিনেগার ও ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তাতে পা ভিজিয়ে রাখুন ও হাতে লাগিয়ে নিন ১৫ মিনিট এর জন্য। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে আপনার রেগুলার ময়শ্চারাইজিং লোশান্‌ টি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন। এটি আপনার হাত ও পা কে করবে আরো ফর্সা ও রোদে পোড়া দাগ একদম ই থাকবে না।

৪) গ্লিসারিন ও অলিভ অয়েলঃ

একটি বোতলে ৮ চামচ গ্লিসারিন এর সাথে ৪ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে রেখে দিন। গোসল শেষে ও রাতে ঘুমানোর আগে হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন মিশ্রণ টি। প্রতিদিন করলে যাদের হাতে ও পায়ে রোদে পোড়া দাগ বসে আছে তারা দাগ গুলো থেকে মুক্তি পাবে এবং হাত ও পা ফর্শা ও হবে। তাছাড়া যেদিন আপনি বাহিরে যাবেন তার আগের রাতে লাগাতে ভুলবেন না। এতে করে আপনার হাত ও পায়ে রোদে পুড়বে না।

৫) গোলাপজলঃ

গোলাপজল কে আইস কিউব করে রাখুন। বাহির থেকে ফিরে ৫-৬ টি আইস কিউব লাগিয়ে নিন হাত ও পায়ে। হাত ও পা এর রোদে পোড়া দাগ দূর করার সাথে সাথে এটি আপনার হাত ও পায়ের রঙ ও ফর্শা করবে।

৬) তিলের তেলঃ

তিলের তেলের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে হাত ও পা এবং ত্বকেও লাগিয়ে নিন। ১ চামচ তিলের তেল এর সাথে ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশাবেন। তিলের তেল এ অনেক পরিমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা হাত ও পা এর ত্বক কে পোড়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধ করতে ডিমের মাস্ক - Egg mask for hair fall control

ডিমে প্রচুর পরিমান প্রোটিন ও ভিটামিন আছে। প্রোটিন এর সবচেয়ে বড় উৎস ডিম। ডিমের সম্পূর্ণ অংশই প্রোটিনের তৈরি। চুলের যত্নে ডিমের ব্যাবহার খুবই কার্যকরী। চুল পড়ার অন্যতম কারণ প্রোটিনের অভাব। কারণ চুল প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ডিমের মাস্ক ব্যাবহার করে আপনি রোধ করতে পারেন চুল পড়া

চুল পড়া এখন একটি মারাত্মক সমস্যা। অতিরিক্ত অতিবেগুনী সূর্যরশ্নির সংস্পর্শ, অতিরিক্ত কেমিক্যাল যুক্ত চুলের প্রসাধনী যেমন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, হেয়ার কালার ও ভেজাল তেলের ব্যাবহার, তৈলাক্ত খাবার এবং চুলের অযত্নই চুল পড়ার কারণ। তাছাড়া অনেকের বংশগত কারণ বা উচ্চ রক্তচাপ এবং শরীরের বিভিন্ন রোগের কারনেও চুল পড়ে থাকে।চুল পড়া ডিমের মাস্ক

ডিমের মাস্ক ব্যাবহার করে চুল পড়া রোধ করুনঃ

ঘন ও মোটা চুল সবাই চায়। সৌন্দর্যের সুচনাই হল সুন্দর চুল। কিন্তু চুল পড়ার কারনে চুলের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। কিন্তু ডিমের মাস্ক আপনাকে চুল পড়া সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়াও ডিমের মাস্ক ব্যাবহারে আপনার চুল হবে ঘন, মসৃণ ও কোমল। তাই আসুন জেনে নেই কিভাবে ব্যাবহার করবেন, চুল পড়া রোধ করতে ডিমের মাস্ক।

চুল পড়া রোধে ডিমের কুসুমের মাস্কঃ

ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন আছে। এর সাথে কুসুমে আছে অনেক ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন। ঘরে বসেই চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন শুধু কুসুমের মাস্ক ব্যাবহারে। চুল যদি অনেক বেশি রুক্ষ, ভঙ্গুর ও অনেক দিন ধরে চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাহলে ডিমের মাস্কই আপনাকে চুলের সব সমস্যা থেকে সমাধান দিবে। ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই যা চুল পড়া কমিয়ে চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের চুল শুষ্ক তারাই ডিমের কুসুমের মাস্ক ব্যাবহার করবেন। তৈলাক্ত চুলে ডিমের কুসুমের মাস্ক ব্যাবহার না করাই ভালো। এতে করে চুল পড়া না কমে বাড়তে পারে।

২ টি ডিমের কুসুমের সাথে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১টি লেবুর অর্ধেকের রস মিশিয়ে খুব ভালো করে পেস্ট করে নিন। তারপর সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ব্যাবহার করে ধুয়ে ফেলুন। মাথায় অবশ্যই তোয়ালে বা সাওয়ার ক্যাপ পড়ে নিবেন। সপ্তাহে ২ বার এই ডিমের মাস্কটি ব্যাবহার করে আপনি চুল পড়া রোধ করতে পারবেন। তাছাড়াও এই ডিমের মাস্কটি আপনার চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জুগিয়ে শক্ত, মজবুত, কোমল, মসৃণ ও সুন্দর করে তুলবে। যারা চুলে কালার করেছেন তারা অবশ্যই এই মাস্কটি ব্যাবহার করবেন। এতে করে চুল হারানো কোমলতা ফিরে পাবে এবং কালারড চুল শক্ত ও মজবুত হবে।

চুল পড়া রোধে ডিমের সাদা অংশের মাস্কঃ

যাদের মাথার ত্বক তৈলাক্ত ও মাথায় ফুস্করি আক্রান্ত তাদের জন্য ডিমের সাদা অংশের মাস্ক খুবই কার্যকরী। মাথার ত্বকের অতিরক্ত তেলের কারনে চুল পড়ে। ডিমের সাদা অংশ চুল থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে চুল পড়া রোধ করে। ২টি ডিমের সাদা অংশের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন ভালকরে। সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

মধু চুলের ভিতরে পুষ্টি যোগায় ও শক্ত করে। অলিভ অয়েল চুল পড়া রোধ করে ও চুল কে হেলদি করে তুলে। ডিমের সাদা অংশ চুলের ময়লা ও তেল দূর করে চূল পড়া রোধ করে। শক্ত, মজবুত, কোমল ও সুন্দর চুল পেতে সপ্তাহে ২ বার এই মাস্কটি ব্যাবহার করুন। এই মাস্কটি যেকোনো ধরণের চুলে ব্যাবহার করে চুল পড়া রোধ করা যায়।

চুল পড়া রোধে ডিমের ২টি মাস্কই আপনাকে সাহায্য করবে। চুল পড়া সমস্যার সমাধান পেতে ঘরোয়া ও সহজ উপায়ে ডিমের মাস্ক ব্যাবহার করুন। ডিমের মাস্কের প্রথম ব্যাবহার থেকেই আপনি ভালো উপকার পাবেন। সপ্তাহে ২ বার যেকোনো একটি ডিমের মাস্ক ব্যাবহার করুন. চুল পড়া রোধ করুন।

Skin beauty tips : ফর্সা হাত পা পাওয়ার সহজ ঘরোয়া টিপস - Home tips for white hand and leg

অনেক মহিলারই শরীরের অন্য অংশের তুলনায় হাত পা একটু বেশি কালো হয়। মুখ, হাত ও পা এর রঙের ভিন্নতা প্রায় সবাইর দুশ্চিন্তার কারণ। আপনার সৌন্দর্য শুধু আপনার মুখের সৌন্দর্যে প্রকাশ পায় না। এর জন্য ফর্সা হাত পা এরও বিশেষ ভুমিকা আছে। ফর্সা হাত পা ছাড়া আপনি অনেক ফ্যাশন থেকেই হয়তো নিজেকে সরিয়ে রাখছেন। হয়তো হাতাকাটা জামা কিনার সাহস পাচ্ছেন না। অথবা এক জোড়া জুতা যা খুবই সখ করে কিনেছেন কিন্তু পরতে পারছেন না। কারণ সেটা আপনার কালো পায়ে মানাচ্ছে না। বিশেষ করে আমাদের হাত পা অনেক বেশি রোঁদের সংস্পর্শে আসে, তাই হাত পা অন্যান্য অংশের চেয়ে অনেক বেশি কালো হয়ে থাকে।

ফর্সা হাত পা

ফর্সা হাত পা পেতে যা করবেনঃ

কালো হাত পা অনেকটাই কষ্ট ও লজ্জার বেপার হয়ে দাঁড়ায় কখনো কখনো। ফর্সা মুখের ত্বকের সাথে সামঞ্জস্য করতে আপনার চাই ফর্সা হাত পা। আর নয় কালো হাত পা।

১. ফর্সা হাত পা এর জন্য কাঁচা দুধঃ

কাঁচা দুধ খুবই কার্যকরী ফর্সা হাত পা এর জন্য। কাঁচা দুধে ল্যাকটিক এসিড আছে, যা ত্বকের ভিতর থেকে ফর্সা করতে কার্যকরী। তাই কাঁচা দুধে তুলার বল ভিজিয়ে হাত ও পায়ে হালকা ভাবে ঘসে লাগিয়ে নিন। আপনি চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। শুখিয়ে গেলে এবার লাগিয়ে নিতে পারেন। না হয় একবার লাগিয়েই ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন কাঁচা দুধ হাত ও পায়ে লাগালে আপনি খুব কম সময়েই পাবেন ফরসা হাত পা।

২. শুকনা কমলার খসা ও দুধঃ

শুকনা কমলার খোসা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ও ত্বকের ময়লা পরিস্কার করে। তাই কড়া রোঁদে কমলার খোসা রেখে তা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। শুখিয়ে গেলে তা ভালোভাবে পাউডার করে একটি পাত্রে সংরক্ষন করুন। তারপর ৪ টেবিল চামচ শুখনা কমলার খোসার গুঁড়ো নিয়ে তার সাথে দুধ মিশিয়ে খুব ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। পেস্টটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন এবং ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি আপনার হাত ও পা থেকে ময়লা দূর করবে এবং আপনাকে দিবে ফর্সা হাত পা। সপ্তাহে ৩ দিন এই মাস্কটি ব্যাবহার করুন।

৩. ফর্সা হাত ও পা এর জন্য টম্যাটোর রস, চন্দনের গুঁড়া ও হলুদের মাস্কঃ

টম্যাটোর রসে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। ত্বকের যত্নে হলুদের কোন তুলনা নেই। হলুদ ত্বক থেকে বয়সের দাগ, রোঁদে পোড়া দাগ ও ব্রনের দাগ দূর করে। চন্দনের গুঁড়া ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা পরিস্কার করে ও ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ টম্যাটোর রস, ১ চামচ হলুদের গুঁড়া ও ২ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ার সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট করে নিন। পেস্টটি হাত পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন এই মাস্কটি ব্যাবহার করে আপনি পেতে পারেন ফর্সা হাত ও পা।

৪. মধু ও দারুচিনির মাস্ক ফর্সা হাত পা এর জন্যঃ

শুধু মাত্র মধুই ত্বককে অনেক ফর্সা করতে সাহায্য করে। কালো হাত পা থেকে মুক্তি পেতে মধু বেশ সহায়ক। মধুর সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে কালো হাত পা এর সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। ২ চা চামচ দারুচিনির পেস্টের সাথে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। হাত ও পায়ে মাস্কটি লাগিয়ে নিন ২০ মিনিট এর জন্য। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যাবহার করে আপনি পেতে পারেন ফর্সা হাত ও পা।

৫. এলো ভেরা ও শসার রসঃ

এলো ভেরার রস বহু গুনাগুন সম্পন্ন। এলো ভেরার রস স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ উপকারি। এটি ত্বকের ভিতরের কোষ গুলোকে পরিষ্কার করে ও দাগ দূর করে। শসার রস কালো দাগ দূর করতে বেশ প্রচলিত। ১ টেবিল চামচ এলো ভেরার রসের সাথে ৩ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে নিন। তারপর মিশ্রণটি হাতে ও পায়ে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে মাসাজ করতে পারেন। হাত পা এর কালো দাগ ও রোঁদে পোড়া দাগ করতে এটি বেশ উপযোগী। তাই সপ্তাহে ২ বার মিশ্রণটি হাত পায়ে লাগিয়ে পেয়ে যান ফর্সা হাত ও পা।

৬. আলু ও লেবুর রসঃ

আলু ও লেবু ত্বকের পোড়া দাগ ও কালো দাগ দূর করতে বেশ সহায়ক। তাই আপনি আলু ও লেবুর রস (১ টেবিল চামচ) করে মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিন। তারপর মিশ্রণ টি হাত ও পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট এর জন্য। তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে খুব ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৪ দিন করেই দেখুন আপনি কিভাবে কালো হাত পা থেকে মুক্তি পেয়ে ফর্সা হাত পা পাবেন।

৭. হাত পা ফর্শা করার ময়েসচারাইজিং জেল বানিয়ে নিন ঘরেইঃ

হাত পা ফর্শা করতে বাজার থেকে কিনছেন লোশন, ক্রিম ও ময়েসচারাইজার? কিন্তু হাত পা থেকে কালচে ভাব যাচ্ছে না! তাই ঘরে বসেই বানিয়ে নিন ময়েসচারাইজিং জেল। একটি খালি বোতলের অর্ধেকটা ভরে নিন গোলাপ জল দিয়ে। বাকি অর্ধেক অংশের অর্ধেকটা ভরে নিন অলিভ অয়েল ও বাকি অর্ধেকটা গ্লিচারিন দিয়ে। তারপর বোতলটি ঝাকিয়ে নিন। রাতে ও গোসলের পর এই জেল টি পায়ে ও হাতে লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন এই ভাবে ২ বার লাগালে ধীরে ধীরে আপনার হাত পা ফর্সা, কোমল ও লাবণ্যময়ী হয়ে উঠবে। তাই ফর্সা হাত পা পেতে এই ঘরোয়া জেলটি ব্যাবহার করেন। ব্যাবহারের পূর্বে অবশ্যই বোতলটি ঝাকিয়ে নিবেন।

৮. পাকা পেঁপেঃ

কালো হাত পা থেকে মুক্তি পেতে পাকা পেঁপে বেশ উপকারী। পাকা পেঁপে রোঁদে পোড়া ভাব ও হাত পা এর কালচে দাগ দূর করে। তাই ফর্সা হাত পা পেতে পাকা পেঁপেকে ভালো ভাবে হাত দিয়ে চটকিয়ে নিন। তারপর হাত ও পায়ে ভালোভাবে ঘসে ঘসে লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ৩ দিন পাকা পেঁপে লাগাতে পারেন, যতদিন পর্যন্ত না আপনি ভালো ফলাফল পাচ্ছেন।

৯. ফর্সা হাত পা পেতে বেসনের মাস্কঃ

বেসন ত্বককে পরিস্কার করে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনে। বেসনের মাস্ক ব্যাবহার করে আপনি ফর্সা হাত পা পেতে পারেন। ফিরে পাবেন হারানো লাবণ্যতা। ২ টেবিল চামচ বেসন, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ বা গোলাপ জল ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে ঘন পেস্ট করে নিন। তারপর হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিন ১৫ মিনিটের জন্য তারপর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যাবহার করে হতে পারেন ফর্সা হাত পা এর অধিকারী।

১০। অলিভ অয়েল বা আলমণ্ড অয়েলঃ

অলিভ অয়েল ও আলমণ্ড অয়েলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেনট রয়েছে। হাত পা কালো হওয়ার অন্যতম কারণ হল শুষ্কতা। তাই প্রয়োজন ময়েসচারাইজিং। প্রতি রাতে হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিতে পারেন অলিভ অয়েল বা আলমণ্ড অয়েল। এতে করে হাত পা হয়ে উঠবে ফর্সা, কোমল ও সতেজ।

হাত পায়ের যত্নে সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ হল পরিষ্কার হাত পা। সব সময় হাত পা পরিষ্কার রাখুন। বাহির থেকে ফিরে মুখের সাথে সাথে হাত পা পরিস্কার করুন। এতে করে হাত পায়ে ময়লা জমবে না ও আপনি পাবেন ফর্সা হাত পা।

ইনস্ট্যান্টSkin beauty tips : ফর্সা ত্বক পেতে ৫টি ফলের ফেস মাস্ক - Five fruit face mask give you instant white skin

প্রতিটা নারীর একটিই সুপ্ত ইচ্ছা থাকে। কিভাবে নিজেকে একটু বেশি সুন্দর করে তুলবে। সবাই চায় ফর্সা ত্বক পেতে। ফর্সা ত্বক পেতে সবাই একটু বেশিই উৎসাহী। কতো কিছুই করে যাচ্ছেন ত্বক কে আরো বেশি আকর্ষণীয়, ফর্সা ও সুন্দর করে তোলার জন্য। অনেক উপায়ই তো আছে ফর্সা ত্বক পাওয়ার। কিন্তু সব উপায়ই দীর্ঘ মেয়াদী, ব্যয়বহুল ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যুক্ত।

আজ আমি আপনাদের বলবো কিভাবে শুধুমাত্র ফলের ফেস মাস্ক ব্যাবহার করে আপনি পেতে পারেন ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক। ফলের ফেস মাস্ক ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বকের সাথে সাথে আপনার ত্বককে করে তুলবে আরও আকর্ষণীয়, লাবণ্যময়ী, সতেজ ও দাগহীন।

ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক

ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পেতে কেন আপনি ফলের ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন?

আসলে ফল তো খাওয়ার জিনিস। আমরা কেনো ফল দিয়ে ফেস মাস্ক বানাবো? এটি সবার মনে প্রশ্ন জাগবে। আসলে ফল যে শুধু শরীরের জন্য উপকারি তা নয় এটি নিঃসন্দেহে ত্বকের যত্নে কাজে লাগানো যেতে পারে। বাজারে অনেক ধরনের হারবাল ফেস মাস্ক পাওয়া যায় যাতে গুনাগুনের চেয়ে ভেজাল বেশি। আপনি যদি ঘরে বসে ভেজালবিহীন ত্বকের যত্ন চান তাহলে নিঃসন্দেহে ফলের ফেস মাস্ক ব্যাবহার করেতে পারেন। ফলের ফেস মাস্ক শুধু ত্বককে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ও পরিস্কার করবেনা। এটি আপনার ত্বককে ময়েসচারাইয করবে এবং চমৎকার প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করবে। এতে খরচেরও তেমন চিন্তা করতে হবে না আপনার। তাছাড়া এই ফলের মাস্ক গুলো ব্যাবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

আসুন জেনে নেই ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য ৫টি ফলের মাস্ক সম্পর্কেঃ

ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পাওয়া আপনার জন্য আর স্বপ্ন থাকবে না। টম্যাটো, সট্রবেরি, কলা, আপেল ও সবুজ আঙ্গুর এর তৈরি ফেস মাস্কই আপনাকে দিবে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক। ফর্সা ত্বকের পাশাপাশি এটি আপনার ত্বককে করে তুলবে লাবণ্যময়ী, কোমল, নিখুঁত ও দাগহীন।

১. ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য টম্যাটোঃ

টম্যাটো চিনে না এমন মানুষ নেই। ফল ও সবজি হিসেবে এটি বহুল প্রচলিত। টম্যাটোর রস মুখের কালো দাগ ও চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতে বেশ সহায়ক। টম্যাটো ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বকের জন্য বেশ উপকারি।

টম্যাটো ফেস মাস্ক বানাতে যা লাগবেঃ

– টম্যাটোর রস ( ১ টেবিল চামচ)

– লেবুর রস ( আধা টেবিল চামচ)

– গোলাপ জল ( ১ টেবিল চামচ)

টম্যাটো ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন যেভাবেঃ

– সব উপকরন গুলো একসাথে মিশিয়ে নিন।

– তারপর মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে ফেস মাস্কটি মুখে ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন।

– ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে নিন।

– এবার দেখুন আপনার ত্বক আগের চেয়ে অনেক ফর্সা হয়ে গেছে।

– সপ্তাহে ২ বার এই ফেস মাস্কটি ব্যাবহার করলে আপনি অনেক বেশিই ফর্সা ত্বক পাবেন।

২. সট্রবেরিঃ

সট্রবেরি খুবই সুস্বাদু ফল হওয়ার সাথে সাথে এতে অনেক ভিটামিন আছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। সট্রবেরি ফেস মাস্ক খুবই কার্যকরী ভাবে কাজ করে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক দিতে।

সট্রবেরি ফেস মাস্ক বানাতে যা লাগবেঃ

– সট্রবেরি (২-৪ টি)

সট্রবেরি ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন যেভাবেঃ

– সট্রবেরিগুলোকে ব্লেন্ডারে খুব ভালো করে পেস্ট করে নিন।

– তারপর চোখের চারপাশ বাদ দিয়ে মুখে ও ঘাড়ে পেস্টটি লাগিয়ে নিন।

– ১৫ মিনিট রেখে খুব ভালো করে ধুয়ে নিন।

– সপ্তাহে ২ বার এই ফেস মাস্কটি ব্যাবহার করতে পারেন।

৩. কলাঃ

কলা চুল ও ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। ত্বকের যত্নে কলার ব্যাবহার আপনাকে অনেক সুফল দিবে। কলা ত্বককে ভিতর থেকে পরিস্কার করে। তাছাড়া এটি ত্বককে ময়েসচারাইয করে ত্বকের লাবণ্যতা ফিরিয়ে আনে ও দাগ দূর করে।

কলার ফেস মাস্ক বানাতে যা লাগবেঃ

– ছোটো সাইজের একটি কলা

– মধু ( ১ টেবিল চামচ)

কলার ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন যেভাবেঃ

– কলাকে খুব ভালো করে চটকে নিন।

– এতে মধু মিশিয়ে খুব ভালো করে পেস্ট করে নিন।

– তারপর মুখে ও গলায় মাস্কটি লাগিয়ে নিন।

– ১৫ মিনিট পর ফেস মাস্কটি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

– এই মাস্কটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে এবং ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করবে।

৪. আপেলঃ

আপেলের উপাদান গুলো মাইগ্রেন থেকে শুরু করে ক্যান্সারের মতো রোগ পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। ত্বক ও স্বাস্থ্যে আরও অনেক ব্যাবহার ও উপকার আছে আপেলের। আপেলের রস মুখের কালো দাগ ও তিল দূর করতে সাহায্য করে। আপেলের ফেস মাস্ক আপনাকে ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক দিতে খুবই উপযোগী। তাছাড়া এটি ব্রন দূর করতেও কার্যকরী।

আপেলের ফেস মাস্ক বানাতে যা লাগবেঃ

– আপেলের রস ( ১ টেবিল চামচ)

– লেবুর রস ( আধা টেবিল চামচ)

আপেলের ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন যেভাবেঃ

– একটি আপেলের চার ভাগের এক ভাগকে ব্লেন্ড করে, তারপর ছেকে রস করে নিন।

– তারপর আপেলের রসের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

– পরিস্কার ত্বকে ফেস মাস্কটি লাগিয়ে নিন।

– ১০ মিনিট পর খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

৫. সবুজ আঙ্গুরঃ

আঙ্গুর ২ রকমের হয়ে থাকে। কালো ও সবুজ আঙ্গুর খেতে যেমন ভিন্ন, তেমন রঙেও ভিন্নতা আছে। সবুজ আঙ্গুরের রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকের গভীরে গিয়ে ময়লা পরিস্কার করে। সবুজ আঙ্গুরের রস ত্বকের জন্য টোনার হিসেবে দারুন ভাবে কাজ করে। এই ফলের ফেস মাস্কটি ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক দিতেও কার্যকরী।

সবুজ আঙ্গুরের ফেস মাস্ক বানাতে যা লাগবেঃ

– সবুজ আঙ্গুর (১০ -১২টি)

– গোলাপ জল (১ টেবিল চামচ)

সবুজ আঙ্গুরের ফেস মাস্ক ব্যাবহার করবেন যেভাবেঃ

– আঙ্গুর গুলোকে খুব ভালোভাবে হাত দিয়ে চটকে নিন।

– তারপর এতে গোলাপ জল মিশিয়ে ভালোকরে পেস্ট করে নিন।

– মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং মুছে শুখিয়ে নিন।

– তারপর ফেস মাস্কটি মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন।

– ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

– এই ফেস মাস্কটি সপ্তাহে ২ বার ব্যাবহার করলে আপনার ত্বক দাগবিহীন ও আরও ফর্সা হবে।

যেকোনো একটি ফলের ফেস মাস্ককে বেছে নিন এবং ব্যাবহার করে দেখুন। আপনার ত্বকের পার্থক্য আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। এই ফেস মাস্ক গুলো সব রকম ত্বকের জন্য প্রযোজ্য। তাই নিঃসন্দেহে ব্যাবহার করতে পারেন।